দেড় মাস হতে চলল তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা। এই জনসংযোগ যাত্রায় পুলিশের উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মসূচিতে ২,২২৫ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী নিযুক্ত থাকছেন বলে অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। সোমবার হুগলিতে চলছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি। জানা গিয়েছে, শুধু ভিন্ন জেলা থেকেই এই কর্মসূচির জন্য নিয়োগ করা হয়েছে প্রায় ৬০০-র ওপর পুলিশ অফিসিয়াল। এছাড়া অভিষেকের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার অফিসার-কর্মী রয়েছেন। এছাড়়া আছে হুগলি জেলা পুলিশও।
২৪ এপ্রিল কোচবিহারের মদন মোহন মন্দিরে পুজো দিয়ে দুমাসের কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় পঞ্চায়েতে সাধারণ মানুষের প্রার্থী নির্বাচন করতে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে আগেই জানিয়েছেন। উত্তরবঙ্গ থেকে জঙ্গলমহলের পর দক্ষিণবঙ্গে চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি। হুগলির কর্মসূচিতেও কড়া নিরাপত্তার ব্য়বস্থা রয়েছে।
সূত্রের খবর, হুগলিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচিতে ভিন জেলা থেকে একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিক থেকে পুলিশ কর্মী নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। পূর্ব মেদিনীপুর, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা পুলিশ ছাড়াও বারাকপুর এপি, র্যাফ, এসএসএফ(হুগলি) মিলিয়ে রয়েছে ৬১৯ জন। এর মধ্যে একজন কো-অর্ডিনেটর, তিনজন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার তথা ডিসি পদমর্যাদার আধিকারিক, ৭ জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, ১৩ জন ইন্সপেক্টর, এসআই ও এএসআই ১০৫, ৪৫০ জন কনস্টেবল ও র্যাফ ৪০ জন। এছাড়া হুগলি জেলার পুলিশ আধিকারিক ও কর্মীরা রয়েছেন। পাশাপাশি অভিষেকের জেড প্লাস নিরপত্তা কর্মী রয়েছে। সেই বাহিনীতে ৮-১০টা গাড়িও আছে।
সম্প্রতি মেদিনীপুরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরিকে অভিষেকের নিরাপত্তা কর্মীরা ধাক্কা দিচ্ছে। মন্ত্রীও তেড়ে যাচ্ছেন তাঁদের দিকে। কিন্তু পরবর্তীতে কিছু হয়নি বলে মন্ত্রী দাবি করেন। নবজোয়ার যাত্রার শুরুতেই পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিশ্বের নানা রাষ্ট্রপধানের থেকেও অভিষেকের নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা অনেক বেশি বলেও পরে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। সূত্রের খবর, জেড প্লাসের অধিকারী অভিষেকের কর্মসূচিতে হুগলি জেলার মতো অন্যত্র একই নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে।