Train Ticket Confirmation By Status Code: পূর্ব রেলওয়ে টিকিট বুকিং প্রক্রিয়ায় স্পষ্টতা এবং স্বচ্ছতার গুরুত্ব উপলব্ধি করে ট্রেনের টিকেটের ক্ষেত্রে বুকিংয়ের স্ট্যাটাস কোডের ব্যাপারটি সম্মন্ধে যাত্রীরা যাতে নিজেরাই অবগত হতে পারেন সেই ব্যাপারে একটি সম্পূর্ণ ধারণা দিতে আগ্রহী। যখন রিজার্ভেশন করা হয়, তখন টিকিটের বর্তমান অবস্থাকে বুকিং স্ট্যাটাস বলা হয়।
PNR (প্যাসেঞ্জার নেম রেকর্ড) হলো ১০-অঙ্কের সনাক্তকরণের জন্য অনন্য একটি নাম্বার, যা কোনো যাত্রী ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বা অফলাইনে আবেদন করার সময় তৈরী হয়ে যায়। এতে যাত্রীর নাম, লিঙ্গ, বয়স, আসন বরাদ্দ (যদি থাকে), ট্রেনের নাম ও নাম্বার, বুকিংয়ের প্রাথমিক অবস্থা, বর্তমান অবস্থা, পৌঁছানোর সময় ও ট্রেনে ওঠার সময়, উৎস স্টেশন এবং গন্তব্য স্টেশন সহ বিস্তৃত তথ্য থাকে। PNR, প্রতিটি ট্রেন যাত্রার জন্য একটি অত্যাবশ্যকীয় নাম্বার, যা থেকে যাত্রীদের অনলাইন বা স্টেশন কিয়স্কের মাধ্যমে আসন সংরক্ষণের অবস্থা, আসন সংরক্ষণ এবং যাত্রার বিবরণ জানতে সহায়তা করে।
টিকিটিং প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন করতে বিভিন্ন PNR কোড যথাযথভাবে বুঝতে পারা যাত্রীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। নিম্নোক্ত কোডগুলি ট্রেনের টিকিটিং প্রক্রিয়ায় সাধারণত দেখা যায়। পূর্ব রেলওয়ে এই কোডগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সরবরাহ করতে পেরে আনন্দিত।
GNWL (সাধারণ ওয়েটিং লিস্ট): এই তালিকাভুক্ত টিকিটগুলি ওয়েটিং লিস্টে থাকে এবং যাত্রীরা তাদের কোনও বুকিং বাতিল করলে তবেই সেগুলি নিশ্চিত আসনে রূপান্তরিত হয়। GNWL-এর ক্ষেত্রে টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি এবং এটি ট্রেনের টিকিটের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত ওয়েটিং লিস্টগুলির মধ্যে অন্যতম।
CKWL/TKWL (তৎকাল কোটার অপেক্ষমান তালিকা): ভারতীয় রেলওয়ে রিজার্ভেশন সিস্টেমে তৎকাল কোটা বোঝাতে সিকে (CK) ব্যবহার করা হয়। তৎকাল কোটার সুযোগ নিয়ে বুক করা টিকিটগুলির জন্য CKWL হলো অপেক্ষমান তালিকা। সাধারণত ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার একদিন আগে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করা যায়।
RSWL (মধ্যবর্তী স্টেশনগুলি থেকে কাটা টিকিটের অপেক্ষমান তালিকা): কোনও ট্রেনের যাত্রাপথের মাঝের কোনও স্টেশন থেকে যাত্রীদের আসন বুকিং করা হলে এবং সেই আসনগুলি যাত্রা শুরুর স্টেশন থেকে পূরণ না হলে এই RSWL অপেক্ষমান তালিকায় দেওয়া হয়। এই তালিকায় টিকিট নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা কম।
PQWL (পুলড কোটা অপেক্ষমান তালিকা): এই অপেক্ষমান তালিকা একাধিক ছোট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে ভাগ করা হয় এবং এটি সেই যাত্রীদের দেওয়া হয়, যারা ট্রেনের যাত্রা শুরুর স্টেশন থেকে শেষ স্টেশনের আগের কোনও স্টেশনে অথবা মধ্যবর্তী যেকোনোও দুই স্টেশনের মধ্যে ভ্রমণ করবেন।
RLWL (দূরবর্তী অবস্থানের অপেক্ষমান তালিকা): কোনও ট্রেনের যাত্রাপথে যদি কোনও বিখ্যাত শহর থাকে, তাহলে সেই শহরের জন্য মধ্যবর্তী স্টেশনগুলি থেকে আসন বুকিং এর ক্ষেত্রে এই RLWL অপেক্ষমান তালিকা দেওয়া হয়। এই অপেক্ষমান তালিকাভুক্ত টিকিটগুলিকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয় তবে টিকিটের নিশ্চিৎকরণ নির্ভর করে টিকিট কেমন বাতিল হচ্ছে তার উপর।
RQWL (অনুরোধের অপেক্ষমান তালিকা): কোনও ট্রেনের দুটি মধ্যবর্তী স্টেশনের মধ্যে যাত্রা করার জন্য টিকিট বুক করলে এবং সেই টিকিট সাধারণ অথবা পুলড কোটার অন্তর্ভুক্ত না হলে এই RQWL-এর অপেক্ষমান তালিকায় দেওয়া হয়।
একটি RSE টিকিট নিয়ে যাত্রী ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন, কিন্তু আসন পাওয়া যাবে এমন নিশ্চয়তা দেওয়া হয় না। যদি আপনার আর AC টিকিট থাকে, তাহলে এর অর্থ হল আপনাকে অপর এক যাত্রী, যার কাছে RSE টিকিট আছে, তাঁর সঙ্গে আসন ভাগ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন- Indian Railways: এক বছর বয়সেই আজীবন পাকা চাকরি শুরু, চেনেন ভারতীয় রেলের এই ‘বড়কর্তা’কে?
CNF (নিশ্চিতকরণ): কোনও যাত্রী যখন টিকিট বুক করেন, তখন তাঁর রিজার্ভেশন অবস্থা "CNF" হিসাবে দেখানো হতে পারে, যদি তাঁর বুকিং নিশ্চিত হয়ে যায় এবং ট্রেনে তাঁকে একটি আসন বা বার্থ বরাদ্দ করা হয়। CNF অবস্থা দেখার পাশাপাশি যাত্রীরা তাঁদের ট্রেনের কোচ এবং আসন নম্বরও দেখতে পারবেন।
পূর্ব রেলওয়ে ট্রেনে যাত্রা করার আগে বিভ্রান্তি এড়াতে এবং নির্ঝঞ্ঝাট যাত্রা নিশ্চিত করতে ১৩৯ নম্বারের মাধ্যমে PNR স্ট্যাটাস বা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসা SMS সুবিধাটি পরীক্ষা করার গুরুত্বের উপর জোর দেয়। যাত্রীরা যদি তাদের রিজার্ভেশন স্ট্যাটাস সক্রিয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, তাহলে তারা যেকোনও পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে পারবেন এবং তদনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন।