Ilish: বর্ষাকালভর ভোজনরসিক বাঙালি ইলিশ প্রেমে মজে থাকে। ইলিশ (Ilish) মাছের দাম যতই হোক না কেন বর্ষায় মধ্যবিত্ত বাঙালির রবিবারের দুপুরের পদে ইলিশ চাইই চাই। কথায় আছে মাছে-ভাতে বাঙালি। ইলিশ সবচেয়ে প্রিয় মাছ বাঙালির। রুপোলি শষ্য নিয়ে খাদ্যরসিক বাঙালির আলাদা একটা নস্টালজিয়া কাজ করে। তবে বর্তমানে কমেছে ইলিশের জোগান। ইলিশের (Hilsa) জোগান কম হওয়ার কারণেই এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী তার পুরোদস্তুর সুযোগ নিচ্ছেন। ইলিশের মতো দেখতে কয়েকটি প্রজাতির মাছ ইলিশ বলে বিক্রি করছেন তাঁরা। বাজার থেকে ইলিশ মাছ ভেবে সেই সব নকল ইলিশ কিনে থলে ভর্তি করে ঘরে ফিরছেন ক্রেতারা।
বাজারে গিয়ে সহজে ইলিশ চেনা এখন বেশ কষ্টকর হয়ে উঠেছে। কারণ, ইলিশ মাছের মতোই হুবহু দেখতে বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাছে ছেয়ে গিয়েছে শহর থেকে জেলার বাজারগুলি। চন্দনা, সার্ডিন, পানসা, খায়রা, চৌক্কা ও সাগর চাপিলা হল বিশেষ ধরনের সামুদ্রিক মাছ। এই মাছগুলি ইলিশের মতোই দেখতে। সাধারণভাবে এই সব মাছ ইলিশের চেয়ে চওড়ায় কম এবং এদের চোখের আকারও ইলিশের তুলনায় বড়। এসব মাছে ইলিশের স্বাদ-গন্ধ কিছুই নেই। চেহারায় কিছুটা ইলিশের মত, তবে ভালে করে খেয়াল করলে পার্থক্যটা বোঝা যায়।
চন্দনা ইলিশ চেনার উপায় কি? চন্দনা ইলিশের বক্ষ কাঁটা ৩০ টির কম থাকে, লেজ পাখনাও তুলনামূলক ছোট হয়, নিচের চোয়াল বড়। ইলিশের সঙ্গে খয়রা মাছেরও চেনার বিভ্রান্তির কথা শোনা যায়। খয়রা মাছ চেনার উপায় কী? খয়রা মাছ পিঠের চেয়ে মেটের দিকে বেশি ফোলা, প্রশস্ত এবং ইলিশের তুলনায় পাতলা হয়, যেখানে ইলিশ দু'দিকেই সমানভাবে উত্তল ও মোটা। ইলিশের তুলনায় খয়রা মাছের চোখ বড় হয়। খয়রা মাছের মাথার আকৃতি অপেক্ষাকৃত খাটো ও অগ্রভাগ ভোঁতা। আর গন্ধেই ধরা পড়ে যাবে ইলিশ আর খয়রা।
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: ভাবতেই পারবেন না! অভূতপূর্ব সাফল্যের শিখর স্পর্শ কলকাতা মেট্রোর
ইলিশের সঙ্গে সার্ডিন বা টাকিয়া মাছ চিনতে অনেকে ভুল করতে পারেন। সার্ডিনের দেহ পুরু এবং পিঠের দিকের চেয়ে পেটের দিক অপেক্ষাকৃত উত্তল ও চ্যাপ্টা। ইলিশের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু, পিঠের ও পেটের দিক প্রায় সমভাবে উত্তল। সার্ডিন মাছ লম্বায় ছোটো হয়। সার্ডিনের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে বড়।
আসল ইলিশের চোখের আকৃতি তুলনামূলকভাবে ছোট। ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করলেই আসল এবং নকল ইলিশের মধ্যে পার্থক্য বোঝা যাবে। যাই হোক গন্ধেই ইলিশ চেনা যাবে। বাজারে গিয়ে একটু সচেতনভাবেই লক্ষ্য করলে আসল ইলিশ ও নকল ইলিশ সহজেই পার্থক্য করা যায়।