ডেঙ্গি মশা নিধনে কড়া আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে হাওড়া পুরনিগম। ডেঙ্গি রুখতে পুর প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও সম্পূর্ণ নিশ্চিত হওয়া যায় না। কারণ, বহু ক্ষেত্রেই বাড়িতে জমা জলে ডেঙ্গি মশার লার্ভা বিস্তার লাভ করে এবং এ ক্ষেত্রে পুরনিগমের প্রায় কিছুই করার থাকে না। তাছাড়া, বাড়ি বাড়ি ঢুকে জল জমে রয়েছে কি না তা দেখার মতো পরিকাঠোমও নেই পুরনিগমের। তাই এবার থেকে বাড়িতে জমা জলের সন্ধান পেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে এক হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা ধার্য করার পথে হাঁটতে চলেছে হাওড়া পুরনিগম।
সূত্রের খবর, ডেঙ্গির সংক্রমণ রুখতে আইনের সাহায্য নিতে এক প্রকার বাধ্য হচ্ছে হাওড়া পুরনিগম। জমে থাকা পরিষ্কার জলেই জন্ম নেয় ডেঙ্গি মশার লার্ভা। সে জন্য খোলা জায়গায় জমে থাকা জল পরিষ্কারের জন্য হাওড়ার প্রতিটি ওয়ার্ডেই নিয়মিত নজরদারি চালান পুরকর্মীরা। কিন্তু, নাগরিকদের বাড়ির মধ্যে কোথাও জল জমে থাকলে সেখানে নজরদারি সম্ভব হয় না পুরকর্মীদের পক্ষে। আর এর ফলেই বড় বিপদের ফাঁড়া থেকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন পুরপ্রশাসনিক কর্তারা। আর তাই 'হাওড়া পুরনিগম আইন ১৫৯ এ' লাগু করতে চলেছে কর্তৃপক্ষ। নয়া আইন লাগু করার বিষয়টি জানিয়েছেন হাওড়ার পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ।
'হাওড়া পুরনিগম আইন ১৫৯ এ' বলবৎ হলে এবার থেকে বাড়িতে জমা জল সংশ্লিষ্ট মালিককেই দায়িত্ব নিয়ে পরিষ্কার করাতে হবে। অন্যথায় তাঁর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করতে পারবে পুরনিগম। হাওড়ার এক পুর প্রশাসক বলেন, "এই আইন অনুযায়ী কমপক্ষে এক হাজার টাকা থেকে সর্বাধিক এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারবে পুরনিগম"। জানা যাচ্ছে, নয়া আইন অনুযায়ী বাড়িতে জমে থাকা জল পরিষ্কার না করলে, প্রথমে সংশ্লিষ্ট নাগরিককে নোটিস পাঠাবে পুরসভা। নোটিসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে জমা জল বাসিন্দা নিজের দায়িত্বে পরিষ্কার না করালে, পুরনিগমই সেই জল পরিষ্কার করবে। তবে সে ক্ষেত্রে জল পরিষ্কারের খরচের সঙ্গে জরিমানাও দিতে হবে বাসিন্দাকে।