করোনার প্রতিষেধক নিতে প্রয়োজন আধার, প্যানের মতো একটি সচিত্র পরিচয় পত্রের। যা অধিকাংশ ফুটপাতবাসী কিশোর-কিশোরীদের কাছেই নেই। যে কারণে সারা রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হলেও সচিত্র পরিচয়পত্র না থাকার কারণে ফুটপাতবাসী ওই বয়সের কিশোর-কিশোরীদের অধিকাংশই এখনও বঞ্চিত কোভিডের টিকা থেকে।
এবারে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি দিয়ে তাদেরকেও ভ্যাকনিশনের আওতায় আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিল হাওড়া পুরনিগম। ফুটপাতের বাসিন্দা, কিংবা চা, বা মিষ্টির দোকানে কর্মরত অথবা কারখানায় কাজ করে এমন ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বয়সের প্রমাণপত্র ছাড়াও টিকা দেবে হাওড়া পুরনিগম। সোমবার হাওড়া পুরনিগমে এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে।
হাওড়া পুরনিগমের যে সব এলাকায় এই বয়সের এইরকম কিশোর-কিশোরীরা রয়েছে সেই এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেখানে ক্যাম্প করে টিকাকরণের কাজ চালানোর পরিকল্পনা করছে পুরনিগম। কিছুদিন ধরেই শহরের স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ফুটপাতবাসী বা নানান কাজের সাথে যুক্ত কিশোর-কিশোরীরা এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। এবারে তাদেরকেও টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করতে চলেছে হাওড়া পুরনিগম।
আরও পড়ুন বাংলায় স্বস্তি করোনা-গ্রাফে, একধাক্কায় সংক্রমণ কমে সাড়ে চার হাজার
হাওড়া পুরসভার মূখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানালেন, "পুরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি আলাদা দল তৈরি করে তাঁদের দিয়েই এই কাজ চালানো হবে। এই দলটি হাওড়া স্টেশন-সহ অন্যান্য যেসব জায়গার ফুটপাতে কিশোর-কিশোরীরা থাকে প্রথমে সেই সব এলাকা চিহ্নিত করবেন। পরে সেখানে স্থায়ী ক্যাম্প করে বা মোবাইল ক্যাম্প করে টিকা দেওয়ার কাজ করবেন। ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের বয়সের প্রমাণপত্র পাওয়া না গেলেও মোটামুটি একটা ধরে নিয়ে এই সমস্ত কিশোর কিশোরীদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।"
এদের সম্পর্কে তথ্য ও ভ্যাকসিনের পর এদের হাতে শংসাপত্র দেওয়ার জন্য নথি তৈরি সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ হাওড়া পুরসভার আধিকারিকরাই করবেন বলে এদিন জানান সুজয়বাবু। ঠিক কবে থেকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো না গেলেও আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শেষ করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভ্যাক্সিন দেওয়ার কাজ শুরু করাই প্রধান লক্ষ তা এদিন জানালেন মূখ্য প্রশাসক।