যেমন কথা তেমন কাজ, আর মিলল হাতেনাতে পুরস্কারও। একদিনের জন্য হাওড়া ডেপুটি কমিশনার (ট্র্যাফিক) পদে বসল হাওড়া যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ববি দাস। চলতি মাসেই পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হাওড়াবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অভিনব প্রয়াস নেয় হাওড়া সিটি পুলিশ। আর সেই প্রয়াসের প্রথম পুরস্কার হিসেবে একদিনের জন্য হাওড়া শহরের ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের ভার তুলে দেওয়া হল ববির হাতে। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত হাওড়ার ট্র্যাফিক অধিকর্তার দায়িত্ব সামলাবে যোগেশচন্দ্র গার্লস স্কুলের ওই ছাত্রী।
কী ছিল সেই অভিনব উদ্যোগ?
পথ নিরাপত্তা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে গোটা অগাস্ট মাস ধরে পোস্টার, ব্যানার, প্রোডাক্ট ডিজাইন ইত্যাদি বিষয়ে এক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগ। সেই প্রতিযোগিতায় নগদ পুরস্কারের পাশাপাশি সেরা পোস্টার ডিজাইনারকে একদিনের জন্যে শহরের যান নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বও দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়। আর প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষণা করে সোমবার হাওড়ার শরত সদনে এক অনুষ্ঠানে পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয় বিজয়ীদের হাতে। পাশাপাশি পুরোদস্তুর পুলিশের পোশাক পরিয়েই একদিনের ডিসি ট্র্যাফিকের দায়িত্ব দেওয়া হয় ববি দাসকে।
প্রথম পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় ববি দাসের হাতে। ছবি: অরিন্দম বসু
ডিসি ট্র্যাফিকের পদ পেয়ে আপ্লুত ববি বলে, "হাওড়াবাসীর কাছে আমার আবেদন, ট্র্যাফিক নিয়মের প্রতি সম্মান দেখান। গাড়ি বা পথচারী সকলের নিরাপত্তার জন্যেই নিয়ম মানুন।" এছাড়াও হাওড়ার প্রাণকেন্দ্র ময়দানে বসা মঙ্গলাহাট এবং যানজট নিয়ে একদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিসির মন্তব্য, "ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে পুরোটা না হলেও যতটা সম্ভব হাট সরিয়ে নিতে হবে।"
আরও পড়ুন: অন্ধকার কাটিয়ে আলোর আশায় লড়াই হাওড়ার সুচরিতার
এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজ্যের এডিজি ট্র্যাফিক বিবেক সহায়, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা, হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার ওয়াই রঘুবংশি, রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, জেলা শাসক মুক্তা আর্য্য, হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দোপাধ্যায় এবং হাওড়ার প্রাক্তন মহানাগরিক ডঃ রথীন চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।