যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র স্বপ্নদীপ কুণ্ডুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষাজগৎ। আত্মহত্যা না, এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে স্বপ্নদীপের পরিবারের দাবি র্যাগিংয়ের বলি হয়েছেন ওই ছাত্র। এরই পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআর এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ও রাজ্য সরকারের শিক্ষা দফতরকে। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রশাসন বলে কিছু নেই বলেই দাবি এপিডিআর-এর। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে এসএফআই।
এপিডিআর-এর সাধারণ সম্পাদক রঞ্জিত শূর বলেন, 'রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের বিরোধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপাচার্য নেই। বেশ কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে টালমাটাল অবস্থা। অস্থায়ী উপাচার্য। কেউই কিছুর দায়িত্ব নিতে রাজি হন না। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই মৃত্যুতে। এর ফলে প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশেষ নজরদারি ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়নি।'
সমগ্র ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছে এপিডিআর। রঞ্জিত শূর বলেন, 'আইআইটি, খড়গপুরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে পুলিশ ভুল ময়নাতদন্ত রিপোর্ট দিয়েছে। খুনকে আত্মহত্যা বলে রিপোর্ট দিয়েছে বলে অভিযোগ। তাই যাদবপুরের ক্ষেত্রে সাবধান হওয়া দরকার। তাই কর্মরত বিচারপতিকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্ত হোক। না-হলে সত্য উদঘাটন নিয়ে গভীর সন্দেহ থেকে যাবে।' পাশাপাশি রাজ্যপালকে স্বপ্নদীপের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে বলেছে এপিডিআর। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে এক্তিয়ারের বাইরে কাজ করা থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালকে বিরোধ মিটিয়ে একযোগ কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছে এপিডিআর। সমগ্র ঘটনা খতিয়ে দেখে পরবর্তী কর্মসূচি নেওয়া হবে বলেই জানিয়েছেন রঞ্জিত শূর।
আরও পড়ুন- র্যাগিংয়ের বলি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র? রহস্যমৃত্যু ঘিরে উঠছে প্রশ্ন
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা প্রথম বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে এসএফআই। সংগঠনের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কমিটি জানিয়েছে, যতক্ষণ না এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা না করা হবে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। আগুন জ্বলবে গোটা ক্যাম্পাসে।