টিকিট তুমি কার? স্বামী না স্ত্রীর ? এই নিয়ে জোর টক্কর। স্ত্রী চাইছেন দলের টিকিট পাবেন তিনিই। দলের পছন্দ স্বামীকে। শেষমেষ শিকে ছিঁড়েছে স্বামীরই। কিন্তু তাতেই শুরু হয়েছে ঘরোয়া বিবাদ। শেষমেষ একই আসনে স্বামী ও স্ত্রী দু'জনেই মনোনয়নপত্র জমা করলেন। দুই প্রার্থীই আবার নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বলে দাবিও করলেন। মালদার কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৩নং আসনে এই দম্পতির মনোনয়নপত্র জমা ঘিরে একপ্রস্থ নাটক হলে বটে। তবে বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
তৃণমূল দলীয়ভাবে মালদার জেলা পরিষদের ৪৩নং আসনে বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম চূড়ান্ত করে। চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়কের পাশাপাশি জেলা পরিষদের বিদায়ী সহকারী সভাধিপতি-ও। জেলা পরিষদের ৪৩নং আসন থেকে জিতেই ২০১৮ সালে জেলা পরিষদে যাওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছিলেন চন্দনা। এবারও ওই আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক বিধায়ক চন্দনা।
আরও পড়ুন- যুগান্তকারী-নজিরবিহীন! বিরোধীদের মনোনয়নে পুলিশকেই ‘চরম’ পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের
৪৩নং আসনটিতে প্রার্থী হওয়ার জন্য মরিয়া চন্দনা সরকার দলের জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে দরবার করেছিলেন। কিন্তু রাজ্য নেতৃত্ব চন্দনা সরকারের দাবি নাকচ করে দেন। শুধু তাই নয়, চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষের নামেই অনড় থাকে দল। যদিও গৃহযুদ্ধ রুখতে প্রার্থীপদ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন পরিতোষ কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় পরিতোষ সরকারকেই।
আরও পড়ুন- বঙ্গে একগুচ্ছ বন্দে-ভারত, হাওড়া নয়, এবার বিকল্প রুটে রাজ্য থেকে দ্রুত পৌঁছন পুরী-বেনারস
এরপরই বৃহস্পতিবার মনোনয়ের শেষ দিনে সরকার দম্পতিকে একসঙ্গে জেলা শাসকের দফতরে এসে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যায়। মনোনয়ন পেশের পর পরিতোষ সরকার বলেন, 'দল আমাকে মেইল মারফৎ নমিনেশন করতে বলেছিল। তাই নমিনেশন করেছি। চন্দনাকে নমিনেশন করতে বলছে। সেও করেছে। চন্দনা ৩ বার জেলা পরিষদে জয়ী হয়ছে। আমি প্রথম দাঁড়িয়েছি। দল যা বলবে সেই মত প্রার্থী হয়ে কাজ করব। পারিবারিক অশান্তির কোন বিষয় নেই।' অন্যদিরে চন্দনা সরকার বলেন, 'আমি বৈষ্ণবনগরের ৪৩ আসনের জেলাপরিষদ আসনে দাঁড়িয়েছে। দল বলেছে তাই মনোনয়ন করেছেন আমার স্বামী। উনি হার্টের রোগী। এরপর দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেই মতই সব হবে। আমাদের আমাদের স্বামী স্ত্রী মধ্যে আলোচনা করে আসন সমঝোতা করব।'