মধুচন্দ্রিমা পেরিয়ে গিয়েছে। সুস্পর্কও তলানীর পথে। আর রাখঢাক নয়। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রেস বিবৃতি জারি করতেই রাজ্যের শাসক দলের নিশানায় সি ভি আনন্দ বোস। দলীয় মুখপত্রে কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছে জোড়-ফুল শিবির। রাজ্যপালকে চাঁচাছোলা আক্রমণে মদন মিত্র, কুণাল ঘোষরা। কিন্তু, রাজ্যপালের আচরণে কোনও ব্যতিক্রম খুঁজে পাচ্ছেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের আচরণ নিয়ে প্রশ্নে অধ্যক্ষের সাফ কথা, 'আমি তো কোনও ব্যতিক্রমী আচরণ দেখছি না।'
নিশীথ প্রমাণিকের উপর হামলার পর ওই সন্ধ্যাতেই রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তারপর বাংলার আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে রাজভবন কড়া বিবৃতি জারি করে। তারপরই পরিস্থিতি অনেকটা বদলে যায়। দলীয় মুখপত্র থেকে তৃণমূলের মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতারা চোখা চোখা বাক্যবাণে বিঁধতে থাকেন আনন্দ বোসকে। সেই প্রেক্ষাপটে বিধানসভার অধ্যক্ষের মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যাবাহী।
মঙ্গলবার রাজ্যপালের আচরণ নিয়ে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'রাজ্যপাল রাজ্যপালের মতো আছে, আমরা আমাদের মতো আছি। আমি তো কোনও ব্যতিক্রমী আচরণ দেখছি না। আমাদের বিধানসভা পরিচালনা আমরা করি, রাজ্যপালের সঙ্গে যতটা যোগাযোগ রাখার দরকার আমরা রাখি। এখনও পর্যন্ত আমি সেরকম কিছু দেখিনি।'
কী লেখা হয়েছে তৃণমূলের মুখপত্রে?
'জাগো বাংলা'র সোমবারের সম্পাদকীয়তে রাজ্যপালকে নিয়ে 'প্রশ্ন উঠবেই' শিরোনামে লেখা হয়েছে, 'রাজ্যপাল যে আসলে বিজেপিরই গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়িত করার প্রতিনিধি, তা প্রমাণ করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। প্রাক্তন রাজ্যপালের পথ দ্রুত অনুসরণ করার প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন বর্তমান রাজ্যপাল। জ্যপাল একতরফা বিজেপির কথা শুনে বিবৃতি দিচ্ছেন। গোপন তদন্ত বলতে রাজ্যপাল কী বুঝিয়েছেন? শুধু নিশীথ প্রামাণিকের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেলেন? রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন না ? …রাজ্যপাল সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে নিরপেক্ষ আচরণ করবেন, এটাই বাংলার মানুষ চাইছেন।'
কী বলেছিলেন মদন মিত্র?
'কেউই আমাদের রাজ্যপাল নয়, সবাই বিজেপির রাজ্যপাল। রাজ্যপাল ভেবেছিলেন আস্তে আস্তে সিঁধ কাটবেন, ধরা পড়বেন ভাবতে পারেননি।'
আরও পড়ুন- চরম বিপাকে কয়েদি পার্থ! ইডি-র তৎপরতায় সেলের অন্দরে বিরাট বদল