/indian-express-bangla/media/media_files/2025/06/15/BtDJMFTbIngkPBRELRjP.jpg)
আহ্লাদে আটখানা ভোজনরসিক বাঙালি! ইলিশের বিপূল জোগানের আশায় জিভে জল
Hilsa Fish: আর মাত্র কয়েকদিনের অপেক্ষা। তারপরই ভোজনরসিক বাঙালির পাতা পড়বে সর্ষে ইলিশ। গতকাল গভীর রাতের পর থেকে উঠে গিয়েছে মৎস্য দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা। আজ সকাল পর্যন্ত প্রায় ১৫০০ ট্রলার পাড়ি দিয়েছে গভীর সমুদ্রে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আর কয়েকটা দিন পরে পুরপুরি ভাবে বর্ষা ঢুকে পড়বে বঙ্গে। আর সেই জন্য আশায় বুক বাঁধছেন মৎস্যজীবীরা কারন বৃষ্টির পরিমাণ বেশি হলে অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি ইলিশ ধরা পড়বে।এই পরিস্থিতিতে কাকদ্বীপ থেকে প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫০০ ট্রলার পাড়ি দিয়েছে। ভালো মাছের দেখা মিললে আরও ট্রলার পাড়ি দেবে গভীর সমুদ্রে।
আরও পড়ুন- 'বাংলা মাধ্যমেও নিজেকে প্রমাণ করা যায়', নিটে তাক লাগানো সাফল্য, বাংলাকে গর্বিত করল বর্ধমানের রুপায়ন
১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন গভীর রাত পর্যন্ত মাছেদের প্রজননের সময়। গত এই দু মাস ধরে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে। তাই এই সময়ে কোনও ট্রলার নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় না। এ বিষয়ে মৎস্যজীবী রবিন দাস বলেন, "গত তিন বছর ধরে নদী ও সমুদ্রে সেভাবে ইলিশের দেখা মেলেনি। মূলত আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে এই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এ বছর অনেক আগে থেকেই বৃষ্টি নেমেছে। তাই ইলিশ মাছ হওয়ার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এছাড়াও এই বছর বাংলাদেশ ও ভারতে একই সময়ে নদী ও সমুদ্রে মাছ ধরার উপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। তাই আশা করা পর্যাপ্ত পরিমাণের ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। শুক্রবার সকালে সব ট্রলার গুলি পাথরপ্রতিমার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। শনিবার গভীর রাতে মাছ ধরার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে পাড়ি দেবে ট্রলার।