Importance of Independence Day Celebrations in West Bengal: দেশের বিভিন্ন অংশের পাশাপাশি প্রতিবছর বাংলাতেও সাড়ম্বরে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে পশ্চিমবঙ্গের অনন্য ভূমিকার কারণেই এরাজ্যে স্বাধীনতা দিবস পালনে বিশেষ জোর দেওয়া হয়। তবে, নির্দিষ্ট পদ্ধতিতেই যে স্বাধীনতা দিবস পালন করতে হবে, এরাজ্যে তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা নেই। তবে, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর প্রজাতন্ত্র দিবসের মত ১৫ আগস্টেও রেড রোডে বিশেষ প্যারেড-সহ নানা অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছে।
পশ্চিমবঙ্গ নানা বিষয়ে বরাবরই উদার। এরাজ্য স্বাধীনতা দিবস পালনের ক্ষেত্রেও সেই রীতি বজায় রাখে। বিভিন্ন সরকারি দফতরে পতাকা উত্তোলন হয়। পাশাপাশি, বেসরকারি সংস্থাগুলো ছোট ছোট জাতীয় পতাকায় অফিস ঘরগুলো সাজায়। সঙ্গে, বিভিন্ন কারখানাতেও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের রীতি চালু রয়েছে।
এর পাশাপাশি নানা জায়গায় ক্লাবগুলো জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকে। রাজনৈতিক দলগুলো আবার নিজস্ব দলীয় কেন্দ্রে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকে। বিভিন্ন স্কুলগুলোতে সরকারি দফতরের মতই জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়ে থাকে। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে থাকে তাদের কার্যালয়ে।
সঙ্গে চলে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। কোনও সংগঠন আবার এই বিশেষ দিনে প্রতিবন্ধীদের সরঞ্জাম উপহার দিয়ে থাকে। কিছু সংগঠন পদযাত্রার আয়োজন করে। জনসাধারণের মধ্যে মিষ্টি বা লজেন্সজাতীয় খাবার বিতরণ করে থাকে। কোথাও আবার সংগীত অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। কোথাও বা বসে আবৃত্তির আসর।
রাজ্যের জেলগুলো এবং হাসপাতালগুলোতে স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রোগীদের ফলবিতরণ কর্মসূচি গ্রহণ করে বিভিন্ন সংগঠন। আবার বন্দিদের ভালো আচরণের কথা মাথায় রেখে মুক্তি দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিভিন্ন জেলে। এই ভাবে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাধীনতা দিবস পালন ছাড়া এমনিতে প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবসকে কার্যত ছুটির দিন হিসেবে পালন করে থাকে পশ্চিমবঙ্গবাসী।
আরও পড়ুন- সাতসকালে পুণ্যার্থীদের পিষে দিল বিলাসবহুল গাড়ি, প্রাণ গেল ৬ জনের, আহত ২
ভোজনপ্রিয় বাঙালি, এই দিনে ঘরে ভালো খাবার রান্না করে রসনা তৃপ্তির মেজাজে থাকে। অনেকে আবার সন্ধের পরে বিভিন্ন রেস্তোরাঁতেও পরিবার নিয়ে খাওয়াদাওয়া করতে যান। এছাড়া বিভিন্ন ধর্মীয় স্থানে ঘুরতে যাওয়ার চলও এই বিশেষ দিনটিতে রয়েছে।