বোর্ড গঠন প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার-কাণ্ড পুরুলিয়ার ঝালদায়। পুলিশের সঙ্গে বচসা-ধাক্কাধাক্কি কংগ্রেস কাউন্সিলর-কর্মীদের। নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রীকেও নিগ্রহের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে বুধবার ঝালদা বনধের ডাক কংগ্রেসের।
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় তৃণমূল ও কংগ্রেস ৫টি করে আসনে জিতেছে, নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন ২টি আসনে। কংগ্রেসের কাউন্সিলর তপন কান্দু খুন নিয়ে এমনিতেই এখনও উত্তপ্ত এলাকা। এর ওপর গকতালই তপন কান্দু খুনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্তেই দোষীরা সাজা পাবে বলে আশাবাদী নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু।
মঙ্গলবার ঝালদায় পুরবোর্ড গঠন ঘিরে গন্ডগোলের আশঙ্কা আগেই করেছিল পুলিশ। সেই মতো পুরভবন চত্বরে পুলিশি ব্যারিকেড তৈরি হয়। এলাকায় জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এদিকে, তপন কান্দু খুন হওয়ার পর এখন ঝালদায় কংগ্রেসের জয়ী কউন্সিলরের সংখ্যা চার।
এই চার কংগ্রেস কাউন্সলির এদিন বুকে কালো ব্যাজ পরে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যাবেন বলে তৈরি হন। মিছিল করে পুরভবনের দিকে এগোতে শুরু করেন তাঁরা। সেই মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। কংগ্রেসের সেই মিছিল এদিন পুরভবনের সামনে এলে উত্তেজনা আরও বাড়ে।
আরও পড়ুন- কী ভাবে খুন হয়েছিলেন ভাদু শেখ, ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে
পুলিশের ব্যারিকেড সরিয়ে দিয়ে মিছিল এগনোর চেষ্টা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। কংগ্রেস কাউন্সিলর ও কর্মীদের বাধা দেয় পুলিশ। নিহত কাউন্সিলরের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুর সঙ্গেও ধস্তাধস্তি-বচসা শুরু হয়ে যায় পুলিশকর্মীদের। পুলিশি নিগ্রহের অভিযোগ তুলেছেন পূর্ণিমা।
উত্তপ্ত পরিস্থিতির পরেও জয়ী কংগ্রেসের কাউন্সিলররা এদিন শপথ নিলেও ছিলেন না বোর্ড গঠন প্রক্রিয়ায়। এদিকে, কংগ্রেস কাউন্সিলর ও কর্মীদের নিগ্রহের প্রতিবাদে আগামিকাল বুধবার ঝালদায় ১২ ঘণ্টার বনধের ডাক দিয়েছে কংগ্রেস। অন্যদিকে, এদিন ঝালদা পুরসভায় নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সুরেশকুমার আগরওয়াল।