টুইট যুদ্ধে এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সম্মুখ সমরে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিশ্ববিদ্যালয় ইস্যুতে শনিবার একটি চিঠি রাজ্যপালকে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই চিঠিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় স্পষ্টই জানিয়ে দিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় সব কাজে হস্তক্ষেপ করে না। এরপরই শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করে পোস্টটি রিটুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি লেখেন, 'ঢিল মারলে পাটকেল ছোঁড়ার সময় এটা নয়। মুখ্যমন্ত্রীর কথা অনুযায়ী, আমরা বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করব।'
সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে আচার্য তথা রাজ্যপাল উপস্থিত থাকতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্টের সিদ্ধান্ত ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। তারপরই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আগামী ১৩ জানুয়ারি ডেকে পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকেও আলোচনা করতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়।
আরও পড়ুন: মমতার দ্রুত প্রাপ্তিস্বীকারে প্রতিক্রিয়া রাজ্যপালের
মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রীর কাছে পাঠিয়ে প্রয়োজনমত আলোচনার জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। চিঠির উত্তরে সেই কথা রাজ্যপালকেও জানান মমতা। এতেই রাজ্যপাল টুইটারে লেখেন, 'গণতন্ত্রে এভাবেই পথ চলা দরকার'।
রবিবার, এবিষয়ে পালটা চিঠি দিয়ে তা টুইট রাজ্যপালকে করে দেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই টুইট ঘিরেই সরব হন রাজ্যপাল। শিক্ষামন্ত্রী চিঠিতে লেখেছিলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেখানকার অনুষ্ঠানের দিনক্ষণ নির্ধারণ বা বাতিল করেন উপাচার্যরা। বর্তমান আইন অনুযায়ী, রাজ্য শিক্ষাদপ্তর এসব বিষয়ে খুব একটা হস্তক্ষেপ করে না।' এছাড়া এনআরসি ইস্যুতে পড়ুয়াদের বিক্ষোভ নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, 'এনআরসি নিয়ে পড়ুয়ারা প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজ্যের মানুষ ও পড়ুয়ারা নয়া আইন বিরোধী।'
পরে অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, 'রাজ্যপালের আচরণ আন্তরিক ও সৌহার্দ্যের হলে একসঙ্গে কাজের ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি নেই।'
Read the full story in English