২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপালের চিঠির জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দ্রুত জবাব’ পেয়ে তাই টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ‘গণতন্ত্রে এভাবেই পথ চলা দরকার’ বলে টুইটে লিখলেন রাজ্যপাল। উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষা মহলের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়। এ নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর মমতাকে চিঠি লেখেন ধনকড়। একদিনের মাথাতেই সে চিঠির জবাব দিয়েছেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জবাবি চিঠির ছবি টুইট করেছেন রাজ্যপাল। ওই চিঠিতে রাজ্যপালের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, এটা শিক্ষা দফতরের বিষয়। রাজ্যপালের সঙ্গে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী আলোচনা করবেন।
Efforts to ensure improvement in education scenario seem to be bearing results. To my communication of December 25, CM has responded on Dec 26 that Minister-in-Charge Education will discuss all the issues. I look forward to this. In democracy we have to move in togetherness. pic.twitter.com/MugTFUS1Vm
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 28, 2019
https://platform.twitter.com/widgets.js
আরও পড়ুন: রাজ্যপালের একান্ত সাক্ষাৎকার: ‘মমতা যাই বলুক আমি ছাড়ব না’
উল্লেখ্য, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের সংঘাত চলছে। সম্প্রতি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে পড়ুয়া ও শিক্ষাকর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন জগদীপ ধনকড়। বিক্ষোভের জেরে শেষমেশ সমাবর্তনে যোগ না দিয়েই ফিরে যান রাজ্যপাল। আচার্যকে ছাড়াই সমাবর্তন হয় যাদবপুরে। এ ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত নয়া মাত্রা নেয়।
এর আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েও বহুবার প্রকাশ্যে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন জগদীপ ধনকড়। এমনকী, একাধিক ইস্যুতে রাজ্যপালের ‘অতি সক্রিয়তা’ ভাল চোখে দেখেনি মমতা বাহিনী। কয়েকদিন আগে বিধানসভায় বিল পেশ নিয়েও রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাতের পারদ চড়ে। কিছুদিন আগে আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণের সময় চরম কটাক্ষের সুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এখানে একজন ব্যাঁকা মানুষ রয়েছেন। ব্যাঁকা এবং ন্যাকা’’। কারও নাম না করে মমতা একথা বললেও, এই মন্তব্য রাজ্যপালের উদ্দেশে হতে পারে বলে ব্যাখ্যা রাজনীতির কারবারীদের একাংশের। এই আবহে মমতার জবাবি চিঠি ঘিরে রাজ্যপালের এহেন বার্তা উল্লেখযোগ্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।