পার্থর বাড়ি ঘেরাওয়ের চেষ্টা প্রাথমিক শিক্ষকদের, পুলিশি প্রতিরোধে অবস্থান বিক্ষোভ

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ছবি: ফেসবুক

বেতন বৈষম্য নিয়ে ফের রাজপথে রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষকরা। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে বুধবার সটান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবন অভিযানের কর্মসূচী গ্রহণ করেন তারা। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেননি প্রতিবাদী শিক্ষকেরা। এই মুহূর্তে দক্ষিণ কলকাতার  রাজা সুবোধ চন্দ্র মল্লিক রোডে অবস্থানে অনড় রয়েছেন তাঁরা। রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে জারি রয়েছে এই আন্দোলন।

Advertisment

আন্দোলনকারী শিক্ষকরা জানিয়েছেন, দাবি না মানলে ২৪ ঘণ্টা অবস্থান বিক্ষোভ চলবে। আগামিকাল থেকে আবারও অনশনের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন, দুপুরে যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ড থেকে নাকতলায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয় প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বাধীন শিক্ষকদের মিছিল। এরপরই যাদবপুর বাঘাযতীনের কাছে ব্যারিকেড করে মিছিলের পথ আটকে দেয় কলকাতা পুলিশ। সেখানেই রাস্তায় ফুটপাথে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে দেন প্রাথমিক শিক্ষকরা।

আরও পড়ুন: মুকুল-অর্জুনকে বড় ধাক্কা মমতার, ভাটপাড়া ‘পুনরুদ্ধার’ তৃণমূলের

ন্যায্য বেতন, ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর-সহ বেশ কয়েকটি দাবি নিয়ে ‘কলকাতা চলো’র ডাক দিয়েছিল উস্থি ইউনাইটেড। তাঁদের দাবি, প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলা হয়েছে।

Advertisment

আরও পড়ুন: বেতন বাড়তেই অনশন প্রত্যাহার প্রাথমিক শিক্ষকদের

উল্লেখ্য, ন্যায্য বেতনের দাবিতে ও বেআইনিভাবে বদলির প্রতিবাদে সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে ১২ জুলাই থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠন উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন। শিক্ষমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, দাবি অনুযায়ী বেতন দেওয়া এখনই সম্ভব না। এরপরই আরও চাপের মুখে পড়ে সরকার। অনশনের নয় দিনের মাথায় ফের ১২ ঘণ্টার অনশনের ডাক দিয়েছিল বাংলার সকল প্রাথমিক শিক্ষকরা। এরপর ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, কেন্দ্রের মত বেতন চাইলে কেন্দ্রে চলে যান। মুখ্যমন্ত্রীর এ হেন মন্তব্যে ক্ষুদ্ধ হয় শিক্ষা থেকে রাজনৈতিক মহল। কাজেই সরকারের ওপর বাড়তে থাকে চাপ। অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকদের 'ন্যায্য দাবি'তে আমরণ অনশনের সামনে নতিস্বীকার করতে হয় মমতা সরকারকে। এরপরই,শিক্ষকদের গ্রেড পে ২৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৬০০ টাকা করা হয়। কিন্তু এতে প্রবীণ প্রাথমিক শিক্ষকদের সার্বিকভাবে ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করছে উস্থি ইউনাইটেড।  মূলত সেজন্যই এদিনের পথে নামা। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাজ্যের অধ্যাপকদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে মমতা সরকার।