/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/11/JzZdqufn4RqebKY0zCHM.jpg)
India Open Kickboxing Cup 2025: আন্তার্তিকস্তরের প্রতিযোগিতায় বাংলার প্রতিযোগিদের দুরন্ত সাফল্য।
India Open Kickboxing Cup 2025: আন্তর্জাতিকস্তরের বক্সিং প্রতিযোগিতায় অনন্য নজির গড়ে দেশের নাম উজ্বল করলেন বাংলার প্রতিযোগিরা। চলতি মাসের ১-৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিকস্তরের ওই কিকবক্সিং প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেই প্রতিযোগিতায় ৩০টিরও বেশি দেশের প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, নেপাল, আমেরিকা, পোল্যান্ড সহ বিশ্বের মোট ৩০টি দেশ থেকে প্রতিযোগিরা এসেছিলেন ভারতে। দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের তিন প্রতিযোগী। অনঙ্গমোহন দেবনাথ, শুভ্রাশ্রী চক্রবর্তী, প্রতানু দাসেরা নেমেছিলেন প্রতিযোগিতায়।
আন্তর্জাতিকস্তরের ওই বক্সিং প্রতিযোগিতায় মহিষাদলের অনঙ্গমোহন দেবনাথ ফাইনালে নেপালের প্রতিযোগির মুখোমুখি হয়েছিলেন। তাঁকে হারিয়ে সোনার পদক জিতেছেন তিনি। অন্যদিকে এই মহিষাদলেরই শুভাশ্রী চক্রবর্তী সোনা ও ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন। তবে মহিষাদলেরই আর এক প্রতিযোগী প্রতানু দাস উজবেকিস্তানের প্রতিযোগির সঙ্গে হারের সম্মুখীন হয়েছেন।
মহিষাদল ফ্লেম স্ট্রাইকসে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন পূর্ব মেদিনীপুরে এই তিনজন। প্রশিক্ষক বিধান জানার কাছে প্রশিক্ষণ নিয়ে একের পর ধাপ পেরিয়ে তাঁরা আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় নেমেছিলেন। তাঁর ছাত্রছাত্রীরা দেশের নাম উজ্বল করায় স্বভাবতই আনন্দে উচ্ছ্বসিত প্রশিক্ষক বিধান জানা। আগামী দিনে তাঁর ছাত্রছাত্রীরা আরও সুনাম কুড়োবেন বলে তিনি আশাবাদী।
আন্তর্জাতিকস্তরের ওই প্রতিযোগিতায় পদকজয়ী মহিষাদলের শুভ্রাশ্রী চক্রবর্তীর সম্পর্কে জ্যেঠু হন মহিষাদলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী। ভাইঝির এই সাফল্যে তিনিও যারপরনাই খুশি। তিলক চক্রবর্তী বলেন, "আন্তর্জাতিক স্তরে সোনা ও ব্রোঞ্জ প্রাপ্তি আমাদের কাছে গর্বের। আগামী দিনে ওর আরও সাফল্য কামনি করি।" অন্যদিকে আর এক পদকজয়ী অনঙ্গমোহন দেবনাথের কাকু মহিষাদল পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ ঘনশ্যাম দেবনাথ। তিনি বলেন, "ভাইপোর সোনা জয়ের খবর শুনে খুব ভালো লাগছে। প্রশিক্ষণের পরিকাঠামোর অভাবের মাঝে আমাদের ব্লকে দু'জন আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতায় সোনার পদক অর্জন করলেন। এটা আমাদের পরম প্রাপ্তি।"
আরও পড়ুন- Kolkata Metro: অভাবনীয় উদ্যোগ কলকাতা মেট্রোর, এমন তৎপরতা এককথায় নজিরবিহীন!