ট্রলারটি ডুবে যাওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। ছবি: কৌশিক দাস
উত্তাল সমুদ্রে প্রায় ডুবতে বসা মৎস্যজীবীদের প্রাণ বাঁচালেন উপকূলরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশের বাসিন্দা। বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। প্রবল ঝড়-বৃষ্টিতে মাঝ সমুদ্রে আটকে পড়েছিল মাছ ধরার তিনটি ট্রলার। যার মধ্যে দুটি গভীর সমুদ্রে ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মোট ২৭ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী।
Advertisment
দড়ি ফেলে বাংলাদেশি মৎস্যজীবীদের উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজে তোলা হচ্ছে। ছবি: কৌশিক দাস।
গভীর নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। প্রবল ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে বঙ্গোপসাগরে ভেসে থাকা ট্রলারগুলির পক্ষে অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছিল। নিম্নচাপের জেরে সমুদ্র উত্তাল থাকবে, বারবার মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে আসতে পরামর্শ দিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
যদিও বাংলাদেশি ওই মৎস্যজীবীদের কাছে আগে থেকে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনও সতর্কবার্তা পৌঁছেছিল কিনা জানা যায়নি। জানা গিয়েছে, তিনটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে গভীর সমুদ্রে গিয়েছিলেন বাংলাদেশি ওই মৎস্যজীবীরা।
তবে প্রবল প্রাকৃতিক দুর্যোগের জেরে তাঁরা আটকে পড়েন মাঝ সমুদ্রেই। খবর পেয়ে মোট ২৭ বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। গভীর সমুদ্রে দুটি ট্রলার ঝড়ের দাপটে ডুবে গিয়েছে। উকূলরক্ষী বাহিনীর ডর্নিয়ার এয়ারক্রাফট গভীর সমুদ্রের বিচ্ছিন্ন এলাকায় অনুসন্ধানের কাজ চালাচ্ছে।
এছাড়াও উকূলরক্ষী বাহিনীর দু'টি উদ্ধারকারী জাহাজও অনুসন্ধান কাজে যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর পশ্চিমবঙ্গের ডিআইজি পঙ্কজ ভার্মা। তিনি জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীরা উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজেই আছেন। তাঁদেরকে রাজ্য পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। তারপর বাংলাদেশের সঙ্গে আলেচনার পরেই তাঁদের বাড়িতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হবে।