Barrackpore-Amrit Bharat Station: অভূতপূর্ব তৎপরতা পূর্ব রেলের (Eastern Railway)। ঢেলে সেজেছে স্টেশন চত্বর। স্টেশনের বাইরের দেওয়ালে সোনার বাংলার সোনালী ইতিহাসের জীবন্ত সব প্রতিচ্ছবি। অকল্পনীয় এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসায় শহরবাসী। শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্বকে মর্যাদা দিয়ে দুরন্ত তৎপরতা রেলের।
বারাকপুর স্টেশনের (Barrackpur) বাইরের দেওয়ালে রঙিন চিত্রকলার এক দারুণ সমারোহ এখন চোখে পড়বে। বিবৃতি দিয়ে রেলের তরফে জানানো হয়েছে, এই উদ্যোগ স্টেশনটির সঙ্গে এই শহরের সংযোগ আরও সুদৃঢ় করবে তাই নয়, এর ফলে হুগলী নদীর তীরে অবস্থিত এই মনোরম শহরের সমগ্র অঞ্চলের নান্দনিক মূল্য বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রেও কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, বারাকপুর স্টেশনের বাইরের পাঁচিলে নান্দনিক চিত্রকলাগুলির বিষয়বস্তু ব্যাপক পরিসরে বিস্তৃত। স্বাধীনতা সংগ্রামের স্মরণীয় ঘটনাগুলির চিত্রায়ন থেকে শুরু করে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ক্রমিক বিবর্তনের চিত্রায়ন পর্যন্ত বিস্তৃত। বারাকপুরকে ইতিমধ্যেই ‘অমৃত ভারত স্টেশন’ (Amrit Bharat Station) হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। সেই কারণেই অতি দ্রুত গতিতে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ শুরু হয়েছে।
বারাকপুর স্টেশনের পাশে ৭৫০ মিটার দীর্ঘ রেলের পাঁচিলটি নানা ঐতিহাসিক কাহিনীর এক অপূর্ব ক্যানভাসে পরিণত হয়েছে। এই চিত্রকলাগুলি সমগ্র জাতির গৌরবময় অতীতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে জীবন্ত করে তুলেছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে মঙ্গল পাণ্ডে'র (Mangal Pandey) বিদ্রোহ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনে গান্ধীজির (Mahatma Gandhi) অবদানের মতো ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি এই চিত্রকলায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
সিপাহী বিদ্রোহের (Sipahi Bidroho) অমর কাহিনী এবং স্বামী বিবেকানন্দ, ক্ষুদিরাম বসু, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর মতো বীরদের সম্মান জানিয়ে তাঁদের ছবি দেওয়ালগুলিকে আরও মহিমান্বিত করে তুলেছে। রেলের এই উদ্যোগ বারাকপুর স্টেশনকে কেবল একটি যাত্রাবিরতির স্থান থেকে বদলে করে তুলেছে ইতিহাসের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
এছাড়াও, এই উদ্যোগটি কেবল ঐতিহাসিক স্মৃতিচারণেই সীমাবদ্ধ নেই। বরং এটি বিনোদন এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপাদানগুলিকেও অন্তর্ভুক্ত করেছে। দুর্গাপুজোর (Durgapuja) মতো উৎসবের আনন্দময় মুহূর্তের চিত্রায়ন ও চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী স্টেশন চত্বরকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
পূর্ব রেলের প্রধান জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ প্রসঙ্গে বলেন, "বারাকপুর এলাকা স্বাধীনতা সংগ্রামের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এই ইতিহাসের সঙ্গে বাংলার বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ধারা ও স্টেশনের দেয়ালে চিত্রিত প্রেরণামূলক চিত্রকলার মাধ্যমে জীবন্ত রূপ লাভ করেছে।"