২০২১ বিধানসভা নর্বাচনের আগে দফায় দফায় টলিউড থেকে সাংস্কৃতিক জগতের লোকজন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শ্রাবন্তী, তনুশ্রী, পায়েলের মতো টলিউডের একঝাঁক অভিনেত্রী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হয়েছিলেন। যদিও এঁরা কেউ জয়ের মুখ দেখেনি। খড়্গপুর থেকে পদ্মপ্রতীকে জয় পান অভিনেতা হিরন চট্টোপাধ্য়ায়। ফের কি ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে সেই ছবি দেখা যাবে? ৯ মে সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে অনুষ্ঠানে হাজির থাকছেন কেন্দ্র ও রাজ্য় বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে অভিনেত্রী তনুশ্রী শঙ্কর, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সোমলতা আচার্য্য, মেধা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। সায়েন্স সিটি অডিটোরিয়ামে 'খোলা হাওয়ার' নিবেদনে 'আমাদের রবীন্দ্রনাথ' অনুষ্ঠানে এই শিল্পীদের হাজির থাকার কথা রয়েছে। এই অনুষ্ঠানেই হাজির থাকবেন বিজেপির কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা অমিত শাহ, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত। সাম্প্রতিক কালের দ্বিতীয় দফায় বাংলা সফর করতে আসছেন অমিত শাহ। এর আগে তিনি এসেছিলেন বাংলা বছরের শুরুর দিন, এবার এসে হাজির থাকবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরে জন্মদিন ২৫ শে বৈশাখের অনুষ্ঠানে। ইতিমধ্যে তৃণমূল নেতৃত্ব টিপ্পনি কেটে বলেছে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মস্থান, বিপুল কর্মযজ্ঞ জেনে যেন বিজেপি নেতৃত্ব বক্তব্য রাখেন।
একটা সময় রোজ ভ্যালি চিটফান্ড কান্ড নিয়ে টলিউডের শিল্পীদের নাম জড়িয়েছিল। যদিও শেষমেশ সিবিআই বা ইডির মুখোমুখি হতে হয়নি ওই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত অভিনেতা-রাজনৈতিক নেতা অনেকেই এখন বিজেপির শীর্ষ পদে রয়েছেন। তবে রবীন্দ্র নামাঙ্কিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে হাজির থাকলেও তাঁরা যে পদ্মশিবিরে যোগ দিচ্ছেন এমন কোনও ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। সামনেই ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন, সেক্ষেত্রে গুঞ্জন অন্য মাত্রা নিয়েছে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, বাঙালির শিক্ষা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, মননে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ। রবি বিনা বাঙালির গতি নেই। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান স্লোগান ছিল বহিরাগত। এই তকমা ঘোছাতে রবি ঠাকুরেই ভরসা রাখছে পদ্মশিবির, মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল। একইসঙ্গে ফের বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের মঞ্চে দেখা যাবে শিল্পী জগতের একাধিক পরিচত মুখকে। তাহলে কি ফের অভিনয়-সংস্কৃতি জগতের লোকজন বিজেপিতে ভিড়তে চলেছে, এই জল্পনাই ঘুরপাক খাচ্ছে রাজবনৈতিক মহলে।