SSC Recruitment Verdict: SSC-র নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি বাতিল মামলায় নয়া মোড়। যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল এসএসসি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঐতিহাসিক রায় দান করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ। ওই দুই বিচারপতির বেঞ্চ ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ প্রক্রিয়ার গোটাটা বাতিল বলে ঘোষণা করে দেন। একসঙ্গে চাকরি যায় রাজ্যের ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। প্রায় ২৬ হাজার জনকে সুদ-সহ বেতনের টাকাও ফেরত দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেওয়ায় যাঁরা যোগ্য ছিলেন তাঁদেরও চাকরি যায়।
এরপর সুপ্রিম কোর্টে মামলার জল গড়ায়। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেন। শুরু হয় শুনানি। গত সপ্তাহে এই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, গোটা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হবে নাকি যাঁরা অযোগ্য তাঁদের চাকরি বাতিল হবে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live: ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা: 'অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি কেন?' রাজ্যকে প্রশ্ন প্রধান বিচারপতির
আজ বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে এসএসসি তরফে তাঁদের আইনজীবী আদালতে জানান, কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য এটা আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসির তরফে আইনজীবী জয়দীপ ঘোষ জানিয়েছেন, কারা যোগ্য কারা অযোগ্য এটা পৃথকীকরণ করা সম্ভব। তবে এতদিন কেন এই কাজটি হল না সে ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আরও পড়ুন- Weekend getaways: কলকাতার কাছেই অনিন্দ্যসুন্দর এক নদী পাড়! 'সেরার সেরা' উইকেন্ড ট্রিপের দুরন্ত অভিজ্ঞতা নিন
মামলার শুনানিতে এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, "নম্বরে কারচুপির বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।" এক্ষেত্রে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করে বাছাই করতে রাজ্য সরকারের সম্মতি রয়েছে কিনা তা জানতে চান প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের আইনজীবী এই প্রসঙ্গে জানান যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের বাছাই করার ক্ষেত্রে তাঁদেরও সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন- Digha: গোয়ার দুরন্ত মজা এবার দিঘাতেও, বাম্পার প্রয়াসে ফাটাফাটি আনন্দে মাতুন বাংলার সৈকতনগরীতে