Dilip-Rinku Son Death: মাত্র ২৬ বছরেই নিভল জীবন প্রদীপ। গতকাল দুপুরে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের স্ত্রী রিঙ্কু মজুমদারে একমাত্র সন্তান আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে। সামনে আসে মৃত্যু নিয়ে একাধিক তত্ত্ব। কিন্তু ঠিক কী কারণে মৃত্যু হল তরতাজা যুবকের।
গতকাল মৃত্যুর পর আরজি কর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হয় রিঙ্কু পুত্রের। প্রাথমিকভাবে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে উঠে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। জানা গেছে, আইটি কর্মী সৃঞ্জয় দাশগুপ্তের হৃদ্যন্ত্র, লিভার এবং কিডনি স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা বড় ছিল। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন উচ্চ রক্তচাপজনিত দীর্ঘ দিনের সমস্যা শরীরে এমন পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।
প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তে জানা গিয়েছেমৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ অ্যাকিউট হেমরেজিক প্যানক্রিয়াটাইটিস। অর্থাৎ, অগ্ন্যাশয়ে তীব্র রক্তক্ষরণ থেকে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে সৃঞ্জয়ের। আরও জানা গেছে, সৃঞ্জয়কে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তার বেশ কয়েক ঘন্টা আগেই মৃত্যু হয় রিঙ্কু পুত্রের।
গতকাল সৃঞ্জয় ওরফে প্রীতমের মৃত্যুতে দিলীপ ঘোষ বলেন, "সকালে ওর মা রান্না করছিল, একটা ফোন এল, আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কোথা থেকে কি হল। ওকে নিয়ে খেলাও দেখতে গিয়েছিলাম। একটা তরতাজা ছেলে চলে গেল। 'পুত্র সুখ হয়নি, পুত্র শোক হল', প্রীতমের মৃত্যুতে গলা ধরে এল ডাকাবুকো বিজেপি নেতার"।
উল্লেখ্য গতকাল দুপুরে নিউ টাউনের আবাসন থেকে উদ্ধার হয় প্রীতমের নিথর দেহ। তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় রিংকু দেবী জানান, 'বেশ কয়েক বছর আগে ওর নিউরোর কিছু সমস্যা ছিল। ওষুধ খেতে হত। ওষুধগুলো মনে হয় কয়েকদিন ঠিক মত খাচ্ছিল না। মুখে বলত না। মনে মনে একটা স্বপ্ন ছিল আমার সাথে থাকবে। আমি বলেছিলাম কটা দিন অপেক্ষা কর। তোকে খুব তাড়াতাড়ি নিয়ে আসব। দু তিন দিন ধরে আমারও ঘুম হয়নি। ছেলেটা খাওয়া দাওয়া করছিল না। আমিও খুব টেনশনে ছিলাম। আমি এখানে রান্না বান্না করছি। ছেলেটা ঠিকমত খাচ্ছে না। কখনও রান্নার লোক এসে ঘুরে চলে যাচ্ছে কখনও বন্ধুর ফ্ল্যাটে থাকছে। আমার বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর ও একটু আপসেট থাকত। মন খারাপ হলেও সেটা আমাকে বুঝতে দেয়নি'।