যাদবপুরের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মর্মান্তিক পরিণতিতে এখনও তোলপাড় রাজ্যের শিক্ষাজগতে। পড়ুয়ার মৃত্যুতে এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী-সহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদবপুর-কাণ্ডের তদন্তে বুধবার লালবাজারে ডেকে পাঠানো হলেও গরহাজির ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়। তাঁকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল বলেই গতকাল তিনি যেতে পারেননি বলে জানিয়েছেন। ঘেরাওমুক্ত হতেই এদিন ফের তাঁকে ডেকে পাঠায় কলকাতা পুলিশ। বিকেল ৩.১০ মিনিট নাগাদ লালবাজারে ঢোকেন রজত রায়। জয়েন্ট সিপি (ক্রাইম)-এর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে যাদবপুরের ডিন অফ স্টুডেন্টস। আগেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে রজত রায় এদিন জানিয়েছিলেন 'লালবাজারের তলব পেলে যাব'।
Advertisment
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যু তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকাও পুলিশের আতসকাচের নীচে। বুধবার লালবাজারে তলব করা হয়েছিল যাদবপুরের ডিন অফ অফ স্টুডেন্টস রজত রায় ও রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু’কে। স্নেহমঞ্জু বসু লালবাজারে গেলে তাঁকে প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
ইউজিসি-র নির্দেশিকায় উল্লেখ থাকলেও কেন বিশ্ববিদ্যালয় হস্টেল এবং ক্যাম্পাসে সিসি ক্যামেরা নেই? মেইন হস্টেলে প্রাক্তনীরা ঘর দখল করে রাখলেও কেন কর্তৃপক্ষ উদাসীন? ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা রুখতে কী ব্যবস্থা? এসবই প্রশ্নই গতকাল রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসুকে করেছিল পুলিশ।
এদিকে, গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন অফ স্টুডেন্টস রজত রায়কেও তদন্তকারীরা ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। ছাত্র মৃত্যুতে তাঁর ভূমিকাকেও কাঠগড়ায় তুলেছে বিভিন্ন মহল। যদিও গতকাল তলব পেলেও লালবাজারে যাননি রজত রায়। বৃহস্পতিবার তাঁর না যাওয়ার কারণ তিনি স্পষ্ট করেছেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে।
তিনি এদিন বলেন, 'গতকাল থেকে আজ অবধি আমাকে ঘেরাও করে রাখা হয়েছিল। আজ ঘেরাওমুক্ত হয়েছি। গতকাল আমি লালবাজারে যেতে পারিনি। যদি লালবাজার আজ ডাকে তাহলে আমি যাব।' এরপর এদিন বেলা ৩টের পর লালবাজারে গিয়েছেন রজত রায়।