/indian-express-bangla/media/media_files/2025/03/02/kS8wyh8jDKlOK9tbyiDp.jpg)
Jadvpur University: সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা অমৃত বসুর ছেলে অভিনব বসু যাদবপুরে অশান্তিতে আহত
Jadavpur University Student Agitation News: যাদবপুর কাণ্ডে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে বিক্ষোভ ঘিরে অশান্তির জেরে আক্রান্ত হয়েছেন কলা বিভাগের পড়ুয়া তথা এসএফআই নেতা অভিনব বসু। কিন্তু তাঁর বাবা হাওড়ার সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা অমৃত বসু। ছেলের কাণ্ডে রীতিমতো ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে তাঁর দাবি, ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক তাঁর নেই। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং শিক্ষামন্ত্রীকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোয় নিন্দা করেছেন অমৃত বসু।
শনিবার, সিপিআই(এম) ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং আইসা-(All India Students' Association (AISA) এর সমর্থকরা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। বিক্ষোভ চলাকালীন শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘেরাও করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। WBCUPA-এর বৈঠক শেষে গাড়ি করে ক্যাম্পাস ছাড়ার সময় শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান শতাধিক বিক্ষোভকারী। অভিযোগ সেই সময় মন্ত্রীর গাড়ি লক্ষ্য করে জুতো ছোঁড়া হয়। ভেঙে দেওয়া হয় গাড়ির কাচও। এদিকে গতকালের ঘটনায় ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, "আমি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি, কিন্তু তাঁরা কোনও আলোচনা চায়নি। তাঁরা কেবল বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চেয়েছিল।" মন্ত্রী বলেন, তিনি পাঁচজন ছাত্র প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু বিক্ষোভকারীরা শান্ত হননি। ভাঙা কাচের আঘাতে আহত হন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁকে তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন, বুকে ব্যথার কারণে এক্স-রে করা হয়েছে, তবে কোনও গুরুতর আঘাত লাগেনি।
পাল্টা বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের দাবি, মন্ত্রীর গাড়ি এক ছাত্রকে চাপা দিয়েছে। আহত ছাত্রকে যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও তাঁর বাঁ চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেই অশান্তির মধ্যেই আহত হন অভিনব। অভিযোগ, তাঁর পায়ের উপর দিয়ে অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্রর গাড়ির চাকা চলে গিয়েছে।
আরও পড়ুন 'SFI নৈরাজ্য চেয়েছিল', মন্ত্রীর অভিযোগের পালটা কী সাফাই বামেদের?
এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ অভিনবর বাবা অমৃত। সাঁকরাইলের তৃণমূল নেতা বলেছেন, 'প্রথমেই বলে রাখি, গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি। ছেলের সঙ্গে মতাদর্শগত মিল নেই আমার। ও তো বাড়িতেই আসে না। করোনাকালে যাদবপুরে ভর্তি হয়। সেখানে মেসে থাকে। বাড়ি থেকে পড়াশোনার টাকাপয়সা নেয় না। স্কলারশিপের টাকায় নিজের খরচ চালায়। ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই আমার।' তাঁর আরও দাবি, 'যাদবপুরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হওয়া উচিত। আমার ছেলে জড়িত থাকলে শাস্তি হওয়া উচিত।'