/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/03/Mamata-Dhankhar-2.jpg)
মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের।
বৃহস্পতিবার জাতীয়সড়ক অবরোধ। শুক্রবার হাওড়াজুড়ে আন্দোলনের নামে তাণ্ডব। চরম ভোগান্তি মানুষের। এদিনই ফের পার্ক সার্কাসে গুলিতে পুলিশ সহ দু'জনের মৃত্যু। ফের রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তথ্য দেওয়ার জন্য আজই রাত ১০টার মধ্যে ডেকে পাঠালেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীকে।
রাজ্যপাল ধনকড়ের আশা, আইন লঙ্ঘনকারীদের রেহাই দেবেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।
While appealing for peace, WB Guv Shri Jagdeep Dhankhar has sought urgent personal update from CS @chief_west by 10 PM today over worsening law & order situation in State since yesterday.
Expect CM Smt. Mamata Banerjee to sternly warn law violators- they will not be spared. pic.twitter.com/Diq910aeP1— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) June 10, 2022
মুখ্যসচিবকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, 'গতকাল থেকেই রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা উদ্বেগজনক হয়েছে পড়়েছে। আজ দু'জনের প্রাণ গিয়েছে। জরুরি আপডেটসের জন্য মুখ্যসচিকে আজ রাত ১০টার মধ্যে তলব করেছি। সরকার আইন-শৃঙ্খলা পুনপ্রতিষ্ঠায় কী পদক্ষেপ করছে তা জানব।'
রাজ্যপালের পর্যবেক্ষণ, 'গতকাল ১১ ঘন্টা জাতীয় সড়ক অবরোধের পর রাজ্যে প্রশাসনের যে পদক্ষেপ করা উছিত ছিল তা বাস্তবে দেখা যায়নি। জুম্মার নমাজের শেষে ইমামদের বার্তার পরও আরও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা উঠিত ছিল।'
আরও পড়ুন-বৃথা গেল মমতার জোড়-হাত, ধুলাগড়ে বিক্ষোভ-তাণ্ডব, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট-পাথর
পরগম্বরকে নিয়ে অসম্মানজনক কথা বলেছেন নূপুর শর্মা, নবীন জিন্দালরা। উত্তাল দেশ। বিজেশে মুখ পুড়েছে ভারতের। বিজেপি থেকে বহিষ্কৃত নূপুর, নবীনরা। কিন্তু, এই ঘটনার রেশ কাটছে না। বৃহস্পতিবার ইমাম, মোয়াজ্জেমদের সংগঠনের নেতৃত্বে ১১৬ নং জাতীয় সড়ক প্রায় ১১ ঘন্টা অবরুদ্ধ করা হয়। নাকাল হন বহু মানুষ। আটকে পড়েছিল শয়ে শয়ে গাড়ি।
আরও পড়ুন-পয়গম্বরকে অসম্মান: জুম্মার নমাজ শেষে তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল দিল্লি-কলকাতা
বিকেল পর্যন্ত এই অবস্থা দেখে হস্তক্ষেপ করেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। দিল্লির ঘটনার জন্য কেন বাংলায় অবরোধ আন্দোলন তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতজোড় করে আন্দোলন প্রত্যাহারের আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি।
এর প্রায় চার সাড়ে-চার ঘন্টা পর জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ ওঠে। তবে, তার আগে টায়ার জ্বালিয়ে, মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে উত্তেজনার পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলে। আরও বিভৎস ছবি দেখা গেল এ দিন। হাওড়া, বজবজ, মেটিয়াব্রুজে বিক্ষোভের নামে তাণ্ডব চলে।