নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের মামলায় একসঙ্গে ৩ জনের ফাঁসির সাজা। দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় ৩ জনকে ফাঁসির সাজা দিল জলপাইগুড়ির বিশেষ পকসো আদালত। একটানা ৫ বছর ধরে নারকীয় এই ঘটনার বিচারপর্ব চলে। শেষমেশ বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি পকসো আদালতের বিচারক রিন্টু শূর ধর্ষণ ও খুনের দায়ে রহমান আলি, জামিরুল হক ও সামিরুল হককে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিন সরকারপক্ষের আইনজীবী দেবাশিস দত্ত জানিয়েছেন, যাবতীয় সাক্ষ্য প্রমাণ খতিয়ে দেখে বিচারক অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসির সাজা দিয়েছেন। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই নাবালিকাকে রহমান আলি নামে একজন সন্ধ্যা নাগাদ বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আর ওই নাবালিকার খোঁজ মেলেনি। ঘটনার দিন রাতেই বাড়ির লোকজন নাবালিকার ফোনে একটি ১০ সেকেন্ডের কল রেকর্ড পায়।
সেই কল রেকর্ড খতিয়ে দেখে জানা যায় রহমান বলে একজন ওই নাবালিকাকে ডেকে নিয়ে গেছে। ঘটনার পরের দিন তারা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। পুলিশ রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও রহমান প্রথমে গোটা ঘটনার সঙ্গে তার যুক্ত থাকার কথা অস্বীকার করে। এর কয়েক দিন পর মেয়েটি তার এক আত্মীয়কে ফোন করে। ফোনে সে জানায়, তাকে চটেরহাট নামে একটি জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। ফোনে কথা চলাকালীন রহমান তার ফোন কেড়ে নিয়ে সুইচ অফ করে দেয়। এরপর পুলিশ এই মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তদন্তে নেমে রহমানকে গ্রেফতার করে।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live updates: 'কোনও ভয় নেই, কাশ্মীরে যান', ওমর আবদুল্লাকে পাশে নিয়ে আবেদন মমতার
তবে ওই নাবালিকার খোঁজ মেলেনি। পরে রহমান আলি পুলিশকে জানায়, সে জামিরুল ও সামিরুল মিলে ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করে দেহ প্রধানপাড়া এলাকার কাজিগর রহমান নামে একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছে। এরপর পুলিশ ২০০০ সালের ২০ আগস্ট ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। তদন্তে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন ওই নাবালিকাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। দেহ লোপাট করতে নাবালিকাকে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।