Jamai sashti : জামাইষষ্ঠীর দিন তমলুকে হল গাছ ষষ্ঠী। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো রীতি ধরে রেখে প্রতিবছরের মতো এ বছরও সকাল সকাল শুরু হল গাছ পুজো এবং গাছে দেওয়া হল ফোটাও।
তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পার্বতীপুর এলাকার চক্রবর্তী পরিবারের দেখা গেলো এই ছবি। যদিও এখন এই পুজো এই পরিবারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। চক্রবর্তী পরিবার ছাড়াও আশে পাশের একাধিক মানুষজনেরা এই পূজার মেতে ওঠেন। প্রথমে গাছের গোড়ায় হলুদ মাখানো সুতো দিয়ে বেঁধে ফেলা হয় গাছটিকে, ফলমূল মিষ্টি দিয়ে পুজো হয় তারপর পুষ্পাঞ্জলী দেন বাড়ির মহিলারা এবং গাছে দই দিয়ে দেয়া হয় ফোঁটা। হলুদ ও সিঁদুর মাখানো সুতো পুজো শেষে বাড়ির জামাই ও ছেলেদের হাতে বেঁধে দেওয়া হয়। মনে করা হয় এই সুতো হাতে পড়লে বাড়ির ছেলে ও জামাইদের মঙ্গল হয়।
পরিবারের এক সদস্য রেখা চক্রবর্তী বলেন, "সবাই জামাইষষ্ঠীর দিন বাবার বাড়ি গেলেও আমরা কখনোই এই পুজো ছেড়ে যাই না। বাড়ির ছেলে ও জামাইয়ের মঙ্গল কামনায় চক্রবর্তী পরিবারের মহিলারা সহ আশেপাশের স্থানীয় এলাকার সমস্ত মা-বোনেরা এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।"
পরিবারের এক বৌমা নীলাঞ্জনা চক্রবর্তী জানান, "জামাইষষ্ঠীর দিন সকাল থেকেই আমাদের এই প্রাচীন অশ্বত্থ গাছকে কাপড় পরিয়ে দেওয়া হয়। ফল,ফুল, দই, পায়েস দিয়ে আমরা সবাই পুজো দেই। আগে এই পুজো পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এখন আশেপাশের সমস্ত মহিলারা এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। আমাদের খুব ভালো লাগে।"
বর্তমান সময়ে ব্যস্তায় রেস্তোরাঁ বা নামি হোটেলে জামাইদের ফোঁটা দেওয়া হয় সেখানে তমলুকে প্রাচীন এই রীতি আজও পালন করা হচ্ছে। যা বর্তমান সমাজের কাছে একটা দৃষ্টান্ত। এলাকার মানুষ দেখে আসছেন যুগ যুগ ধরে এই রীতি পালন হচ্ছে তারাও রীতি থেকে পীছু হটেনি। এদিন সকাল থেকে মহা ধুমধামের সাথে পালিত হয় গাছ ষষ্ঠী।