সোমবার নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়, বৃহস্পতিবার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার, শুক্রবার তৃণমূল কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। ঝালদা পুরসভায় পাঁচ দিনে ৩ জন পুরপ্রধান। কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনের ঘটনার পর তৃণমূল দুজন নির্দলের সমর্থন নিয়ে পুরবোর্ড গঠন করে। ঝালদার পুরপ্রধান বদলের নজিরবিহীন ঘটনায় হতবাক রাজনৈতিক মহল। কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, এই লড়াই জারি থাকবে।
গতবছর ১৩ মার্চ দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হন ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পুরুলিয়ার এই ছোট্ট শহর। আদালতের নির্দেশে নিহত কংগ্রেস নেতা তপন কান্দু খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্ত চলছে। ঝালদা পুরসভায় মোট ১২টি আসন। পুরভোটের পর দেখা যায় কংগ্রেস ও তৃণমূলের ৫জন করে কাউন্সিলর, ২জন নির্দল কাউন্সিলর। তপন কান্দু খুনের পর দুজন নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থনে তৃণমূল কংগ্রেস পুরসভা দখল করে। একজন কাউন্সিলর কমে গিয়েছিল কংগ্রেসের। যদিও পরবর্তীতে পুরনির্বাচনে কংগ্রেস ফের জয়ী হয় তপন কান্দুর আসনে। দুই নির্দল কাউন্সিলর সমর্থন তুলে নেওয়ায় সংকটে পড়ে তৃণমূল পুরবোর্ড। তারপর গত পাঁচ দিনে তিন পুরপ্রধান পেল ঝালদা পুরসভা।
পুরুলিয়া জেলা কংগ্রেসের সভাপতি নেপাল মাহত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। বার বার ঝালদা পুরসভায় এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। আবার ঘটাচ্ছে। আবার হারছে। আমরা এই লড়াই চালিয়ে যাব। পরিস্কার বলতে চাই পুরসভা দখল করতে যদি একজন কাউন্সিলরকে খুন হতে হয় তাহলে এগুলি সাধারণ ব্যাপার। এগুলোর মোকাবলি করে নেব।’ পাঁচ দিনে তিন পুরপ্রধান? নেপাল মাহাতর মন্তব্য়, ‘এমন ঘটনা কোনও দিন শুনিনি।’
আরও পড়ুন- আদালতে নজিরবিহীন ধাক্কা তৃণমূলের, ফের বদলালো ঝালদার পুর-প্রধান
বর্তমানে আদালতের গাতেই গণতন্ত্র সুরক্ষিত বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। তিনি বলেছেন, 'গণতান্ত্রিক নীতির প্রশ্নে এই জয়টা আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। সবকিছু গাজোয়ারি করে করা যায় না। বিচারপতির যা পর্যবেক্ষণ সেটা মারাত্মক। এতে মানুষের আদালতের প্রতি ভরসা বাড়ল।'
১৬ জানুয়ারি তৃণমূল কাউন্সিলরদের সমর্থনে চেয়ারপার্সন হন নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। ১৯ জানুয়ারি প্রশাসনিক নির্দেশে তাঁকে সরিয়ে চেয়ারম্যান হন তৃণমূলের সুদীপ কর্মকার। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চেয়ারপার্সন হলেন পূর্ণিমা কান্দু। মামলার পরবর্তী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত এই রায় আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি।