ডামাডোল থামছেই না ঝালদা পুরসভায়। এবার কাউন্সিলর পদ খারিজের নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতের দ্বারস্থ শীলা চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার দৃষ্টি আকর্ষণ নির্দল কাউন্সিলরের। তাঁকে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে আদালত। আজ দুপুরেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভায় অচলাবস্থা জারি। ঝালদায় আস্থা ভোটে হেরে গিয়েছিল তৃণমূল। তারপরেও এক তৃণমূল কাউন্সিলরকেই চেয়রম্যান মমোনীত করে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তবে এবার পুর আইনকে হাতিয়ার করে নির্দল কাউন্সিলরকে চেয়ারম্যানপদ থেকে সরিয়ে দিলেন মহকুমাশাসক।
ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোটে জয় পায় কংগ্রেস। তারপরেও রাজ্য সরকার প্রশাসক বসিয়ে দেয় ঝালদা পুরসভার মাথায়। রাজ্যের সিদ্ধান্তে এরপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশেই চোয়ারম্যান নির্বাচন করা হয়। শেষমেশ পুরপ্রধানকে অপসারণ রাজ্য সরকারের। পুরভোট মেটার এক বছর পরেও ডামাডোল থামছেই না ঝালদা পুরসভায়।
আরও পড়ুন- ফের জোর চর্চায় কার্টুনকাণ্ড, অম্বিকেশের আর্জি নিয়ে বিরাট রায় আদালতের
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন করেছে কংগ্রেস। ভোটাভুটিতে ৭-০ ফলে জয়লাভ করে কংগ্রেস। নির্দল কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায় চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেন। এবার পুর আইনকে হাতিয়ার করে শীলা চট্টোপাধ্যায়কে চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি জারি করেন মহকুমা শাসক।
আরও পড়ুন- বিরাট প্রতারণার পর্দাফাঁস সময়ের অপেক্ষা? সাতসকালে তৃণমূল নেতার ফ্ল্যাটে ED
ঝালদার মহকুমা শাসকের পাঠানো সেই খারিজ নোটিশের বিরুদ্ধেই এবার আইনি পথে লড়াইয়ের চ্যালেঞ্জ নিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। রাজ্যের ওই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার নির্দল কাউন্সিলর। বিচারপতির দৃ্টি আকর্ষণ করতেই মামলা গৃহীত হয়েছে।