ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়কের গ্রেফতারির পর তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর তথ্য সিআইডির হাতে। তাঁদের গতিবিধি নিয়ে আগাগোড়াই পুলিশের সন্দেহ ছিল। তদন্তে উঠে এসেছে। শনিবার দুপুরে কলকাতার সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে উঠেছিলেন তিন বিধায়ক। সেই হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ হাতে এসেছে গোয়েন্দাদের। দেখা গিয়েছে, হোটেলের রেজিস্টারে নাম না লিখেই ঘর নিয়েছিলেন তাঁরা।
Advertisment
তদন্তে জানা যায়, গতি শনিবার দুপুরে ৩টে ৮ মিনিটে হোটেল ওয়ালসনে ওঠেন তিন বিধায়ক। কিন্তু রেজিস্টারে নাম নথিভুক্ত করা হয়নি। ১০৬ নম্বর ঘরে তাঁরা ওঠেন। ঠিক ৬ মিনিট পর অর্থাৎ ৩.১৪ মিনিট নাগাদ বেরিয়ে যান তাঁরা। সিআইডি-র অনুমান, টাকা নিতেই ওই হোটেলে গিয়েছিলেন তাঁরা। দ্রুত টাকা নিয়ে বেরিয়ে যান তিন জন। এর পর হোটেলের পানশালায় তিনজনকে দেখা যায়। বিধায়কদের সঙ্গে থাকা একজন স্কুটার নিয়ে হোটেল থেকে বেরিয়ে যান।
গোয়েন্দা সূত্রে খবর, স্কুটার চালিয়ে ওই ব্যক্তি লালবাজারের উল্টোদিকে এক ব্যবসায়ীর কাছে যান। সেখান থেকে টাকা নেন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই ব্যবসায়ী হাওয়ালার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু হোটেলের রেজিস্টারে নাম না থাকলেও পার্কিংয়ের খাতায় নাম উল্লেখ ছিল তাঁদের। সেই সূত্র ধরেই এগোচ্ছে সিআইডি। ঝাড়খণ্ডের বিধায়কের বোর্ড লাগানো গাড়ি হোটেলে ঢুকেছিল তা সিসিটিভি ফুটেজ থেকে পরিষ্কার।
এর পর দেখা গিয়েছে, ৩.৫০ মিনিট নাগাদ হোটেল থেকে গাড়িটি বেরিয়ে যায়। সেই গাড়িই হাওড়ার পাঁচলায় আটকায় পুলিশ। তার পর গাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৪৯ লক্ষ টাকা। সিআইডি ওই ব্যবসায়ীকে খুঁজছে। তাঁর এক আত্মীয়কে জেরা করা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে, ঝাড়খণ্ডে সরকার ফেলার জন্যই কারও মারফত টাকা ব্যবসায়ীর থেকে নিয়েছিলেন বিধায়করা। সেই নেপথ্যে কে বা কারা তা জানতে তদন্ত জোরদার করেছে সিআইডি। মনে করা হচ্ছে, রাজনৈতিক যোগ রয়েছে এই টাকার পিছনে।