জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবারকে হত্যার ঘটনায় রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হচ্ছেন পরিজনরা। স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রকে খুনের ঘটনায় রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে চান পরিজনরা। আগামী ১৯ অক্টোবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন বন্ধুপ্রকাশের পরিজনরা। রাষ্ট্রপতি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁরা নিজেদের দাবি জানাবেন বলে খবর। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বিজয়া দশমীর দিন মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে স্কুল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী বিউটি পাল, ছেলে অঙ্গনকে খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে উৎপল বেহেরা নামে এক রাজমিস্ত্রিকে। পাশাপাশি এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশের বন্ধু সৌভিক বণিককে।
আরও পড়ুন: ‘নোবেলজয়ী অভিষেকবাবু’, মমতার মন্তব্যে উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি
কিন্তু ৫ মিনিটে তিন খুন কীভাবে সম্ভব, এ নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পুলিশের দাবি উড়িয়ে এ ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে পরিবার। এ প্রসঙ্গে বন্ধু প্রকাশের আত্মীয় বন্ধুকৃষ্ণ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। যেভাবে পুলিশ তদন্ত করছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট নই। একজন পেশাদার খুনি নয়, তাও সে ৫ মিনিটে তিনটি খুন করল, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়’’।
আরও পড়ুন: ‘রাহুল গান্ধীর ভুল অধীর চৌধুরীও করল, এবার ওকে সারা দেশে দৌড় করাব’
অন্যদিকে, জিয়াগঞ্জে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে নিহত বন্ধুপ্রকাশ পালের বন্ধু সৌভিক বণিককে। মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর সৌভিককে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উৎপলের দেওয়া তথ্যে বহু অসঙ্গতি মিলেছে। এছাড়া বিমার সংস্থায় লগ্নি সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে সৌভিক বণিককে। এ ব্যপারে মুর্শিদাবাদের জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ বলেন , ‘‘সৌভিক নানা সময় সাগরদিঘি এলাকার মানুষকে বাড়তি লাভের লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি লগ্নি সংস্থায় লগ্নি করাত। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়েছে’’।
Read the full story in English