Wonder Girl: একরত্তি কন্যের এযেন এক অসাধ্য সাধন! অভাবনীয় কৃতিত্বে নজিরবিহীন সাফল্যের শীর্ষে অবাক কন্যে। তাঁর সাফল্যে স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। উচ্ছ্বাসের স্রোত এলাকাতেও। মাত্র আড়াই বছর বয়সে যে কীর্তি ছুঁয়েছে কোলাঘাটের এই খুদে, তা এখন রীতিমতো চর্চায়। তাঁর এই বিরল কৃতিত্বকে কুর্ণিশ জানিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ২০২৪।
বেনজির কীর্তির শিরোপা ছুঁয়ে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস ২০২৪-এ এই বছর নাম নথিভুক্ত করে ফেলেছে পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটের মোহিষগোট গ্রামের ছোট্ট মেয়ে জিনিয়া মান্না। বয়স সবেমাত্র আড়াই বছর। আর এই বয়সেই নিমেষেই বিভিন্ন দেশের ফ্ল্যাগ দেখেই দেশের নাম বলে দিতে পারে। গড়গড় করে ইংরেজিতে ১২টি মাসের নাম, সপ্তাহের সাত দিনের নাম, ৬টি ঋতুর নাম এবং বিভিন্ন কবিতা সে বলে দিতে পারে।
ছোট্ট জিনিয়ার বাড়ির লোকজন দু'মাস আগে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে তার নাম নথিভুক্তিকরণের জন্য সমস্ত তথ্য দিয়ে পাঠিয়েছিল। এরপর সমস্ত দিক বিবেচনা করে অবশেষে জিনিয়াদের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের পুরস্কার। সংস্থার তরফে জিনিয়ার জন্য পাঠানো হয়েছে একটি সুদৃশ্য মেডেল, এছাড়াও শংসাপত্র, সুদৃশ্য পেন সহ রয়েছে একাধিক উপহার।
এই পুরস্কার আসার পর থেকেই মহিষগোট গ্রামের মান্না পরিবারে রীতিমতো খুশির হাওয়া। ছোট্ট জিনিয়াকে দেখবার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিবেশীরা। মা রুম্পা মান্না ও বাবা তুষার মান্না জানান, তাঁদের ছোট্ট মেয়ের এই প্রতিভা দেখে তাঁরা সত্যিই অভিভূত। আগামী দিনে আরও কোনও প্রতিযোগিতায় জিনিয়া যাতে তাঁর নাম নথিভুক্ত করতে পারে তাঁরা সেই চেষ্টাও করছেন।
আরও পড়ুন- Fire: ফের বিধ্বংসী আগুন কলকাতায়, দাউদাউ করে জ্বলে খাক পুরনো বাড়ি
প্রতিভা তো আছেই। তবে ছোট্ট জিনিয়ার সঙ্গে আগাগোড়া লেগে থাকে তার মা। এছাড়াও বাবা, দাদু, ঠাকুমাও বিভিন্নভাবে জিনিয়াকে সাধারণ জ্ঞানের বিভিন্ন প্রশ্ন, তার উত্তর শেখান। সবমিলিয়ে আড়াই বছরের কোলাঘাটের ছোট্ট জিনিয়া যে 'জিনিয়াস' হবে, তাতে সন্দেহ বেশ কম।