আসানসোলের বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারির বাড়িতে গিয়েও তাঁর দেখা পেল না পুলিশ। ছিলেন না চৈতালির স্বামী তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও। ফলে তাঁদের জি টি রোডে ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টের সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেই ফিরে আসতে হল পুলিশ আধিকারিকদের।
কম্বলদানের অনুষ্ঠানে মৃত্যুর ঘটনায় জিতেন্দ্র ও তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। ফলে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে পুলিশ সোমবারই এই দুই বিজেপি নেতা-নেত্রীকে নোটিস দিয়েছিল। সোমবারও তাঁরা বাড়িতে ছিলেন না। ফলে ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টের তিওয়ারি দম্পতির ফ্ল্যাটের দরজায় নোটিস সেঁটে দিয়ে আসে পুলিশ। সেখানে উল্লেখ ছিল মঙ্গলবার সকালেই হবে এই জিজ্ঞাসাবাদ।
সেই মতো মঙ্গলবার সকাল ১০টা নাগাদ আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল ২) শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল জিতেন্দ্র তিওয়ারির ফ্ল্যাটে পৌঁছান। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ অফিসাররা সেখানে প্রবেশ করতে পারেননি। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে অপেক্ষা করেন উর্দিধারীরা। এক ঘণ্টার বেশি অপেক্ষার পর ফিরে যায় পুলিশ।
আরও পড়ুন- দলের নেতাকে খুনের চেষ্টা, অনুব্রতর ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত, দিল্লি-যাত্রা রুখতে কৌশল?
এখন কোথায় রয়েছেন তিওয়ারি দম্পতি? সংবাদ মাধ্যমকে ফোনে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেছেন, 'আমরা বাড়ি নেই। তাই সোমবার নোটিসের কথা আমার জানা নেই। আসলে কিছু তৃণমূল নেতা আমার সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে পেরে না উঠে এভাবেই পুলিশকে দিয়ে বদলা নিতে চাইছেন।' জিতেন্দ্রর দাবি, কম্বলকাণ্ডে শিশুকন্যার মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছেন তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি। অসুস্থ তিনি। তাই তাঁর চিকিৎসার জন্য বাড়ির বাইরে থাকতে হচ্ছে।
গত বুধবার আসানসোলে কম্বল বিতরণের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্য়ু হয়েছিল। ওই অনুষ্ঠানের উদ্য়োক্তা ছিলেন কাউন্সিলর চৈতালীদেবীই। এই ঘটনায় জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং চৈতালি তিওয়ারির নামে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় ইতিমধ্য়েই ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ।