Joe Biden Prostate Cancer: জো বাইডেনের প্রোস্টেট ক্যান্সার হাড়ে ছড়িয়েছে! উদ্বেগ বাড়াল দাবি, জানুন এই ‘নীরব ঘাতক’-এর উপসর্গ ও প্রতিকার
প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গুরুতর অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করছেন বলে দাবি করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ ও রাজনৈতিক কর্মী লরা লুমার। তাঁর দাবি, প্রাক্তন মার্কিন জো বাইডেন প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত এবং সেই রোগ ইতিমধ্যেই হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও হোয়াইট হাউস এই দাবির সত্যতা স্বীকার করেনি, তবে এই মন্তব্য বিশ্ব রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে।
লুমারের মতে, বাইডেনের শারীরিক অবস্থা সংকটজনক। এই দাবির সত্যতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও,আজকালকার দিনে প্রোস্টেট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বিশেষ ভাবে জরুরি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রোস্টেট ক্যান্সার কী? কীভাবে ছড়ায়?
ইউরোলজিস্ট ও রোবোটিক সার্জারির বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রোস্টেট ক্যান্সারকে 'নীরব ঘাতক' বলা হয়। প্রাথমিক অবস্থায় এর উপসর্গ খুবই হালকা হওয়ায় অনেকেই তা উপেক্ষা করেন। ফলে যখন রোগ ধরা পড়ে, তখন অনেক সময়ই তা শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে পড়ে। জো বাইডেনের ক্ষেত্রে যেহেতু ক্যান্সার হাড়ে ছড়িয়ে পড়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, এটি মেটাস্ট্যাটিক স্টেজ, অর্থাৎ রোগের সবচেয়ে গুরুতর পর্যায়। এই অবস্থায় রোগীরা হাড়ের তীব্র ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্লান্তিতে ভোগেন।
কোন লক্ষণগুলি উপেক্ষা করা উচিত নয়?
- চিকিৎসকদের মতে, নিচের উপসর্গগুলি প্রোস্টেট ক্যান্সারের ইঙ্গিত হতে পারে:
- ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া
- দুর্বল প্রস্রাবের ধারা
- রাতে বারবার প্রস্রাব করতে ওঠা
- প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাত
- এই ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত
৫০ বছরের পর থেকে প্রতিটি পুরুষের বছরে একবার প্রোস্টেট পরীক্ষা করা উচিত। যাদের পরিবারে আগে থেকেই প্রোস্টেট ক্যান্সারের ইতিহাস রয়েছে তাদের ৪৫ বছর থেকেই নিয়মিত চেক-আপ শুরু করা উচিত।
চিকিৎসা কতটা সম্ভব?
বর্তমানে রোবোটিক সার্জারির সাহায্যে প্রোস্টেট ক্যান্সার অনেক সহজেই চিকিৎসাযোগ্য হয়েছে। এই পদ্ধতিতে কম রক্তপাত, কম ব্যথা এবং দ্রুত আরোগ্য লাভ সম্ভব। ফলে রোগীর জীবনযাত্রার মানও দ্রুত আগের অবস্থায় ফিরে আসে।
সচেতন থাকাটাই প্রধান অস্ত্র
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রোস্টেট ক্যান্সার মানেই মৃত্যু নয়। সঠিক সময়ে শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা করাতে পারলে এটি সম্পূর্ণভাবে নিরাময় সম্ভব।