Abhishek Banerjee: পাক মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের অবস্থান তুলে ধরতে এবং 'অপারেশন সিন্দুর'-এর সাফল্য বিশ্বমঞ্চে ছড়িয়ে দিতে কেন্দ্র যে সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল গঠন করেছে, তাতে যোগ দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কেন সাড়া দেয়নি তৃণমূল, সেই ব্যাখ্যাই দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক। প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হলেও সফরে যাচ্ছেন না দলের বহরমপুরের সাংসদ ইউসুফ পাঠান। বিষয়টি কেন্দ্রকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে তৃণমূল।
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, কোনও রকম আলোচনা ছাড়াই ইউসুফ পাঠানের নাম ওই প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করেছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "কেন্দ্র কীভাবে তৃণমূলের হয়ে প্রতিনিধি নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নিতে পারে? কোন দল কাকে পাঠাবে, তা নির্ধারণ করার অধিকার একমাত্র সেই দলেরই। বিজেপি সরকার কোনও আলোচনাই করেনি। এটা একতরফা সিদ্ধান্ত এবং তা আমরা মানি না।"
উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ মে ভারত চালায় 'অপারেশন সিন্দুর'—যার আওতায় পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের একাধিক সন্ত্রাসী ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় সেনার দাবি, এই অভিযানে জইশ-ই-মহাম্মদ, লস্কর-ই-তৈয়বা এবং হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সংগঠনের অন্তত ১০০ জন জঙ্গিকে নিধন করা হয়েছে।
এই অভিযানের সাফল্য ও ভারতের 'জিরো টলারেন্স' নীতি আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতেই গঠিত হয়েছে সাতটি সর্বদলীয় সংসদীয় প্রতিনিধিদল। কেন্দ্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই প্রতিনিধিদলগুলি সৌদি আরব, কুয়েত, যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, জাপান, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, কাতার-সহ ৩০টিরও বেশি দেশে সফর করবে। এই উদ্যোগের মূল বার্তা—"এক মিশন, এক বার্তা, এক ভারত"।
কিন্তু সেই উদ্যোগে সাড়া দেয়নি তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর, দলের নির্দেশে ইউসুফ পাঠান প্রতিনিধিদলে অংশগ্রহণ করবেন না। দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, "আমরা সবসময় দেশের স্বার্থে সরকারকে সহযোগিতা করেছি। কিন্তু দলীয় স্তরে কাউকে বেছে নেওয়ার আগে কেন্দ্রের তরফে আলোচনা করা উচিত ছিল।"তৃণমূলের এই অবস্থান স্পষ্ট করেই বুঝিয়ে দিল, জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে দল দেশবাসীর পাশে থাকলেও, রাজনৈতিকভাবে একতরফা সিদ্ধান্তে রাজি নয় তৃণমূল।