Post Poll Violence: আবারও ভোট পরবর্তী হিংসায় সন্ত্রস্ত বাংলা। দিকে দিকে বিরোধীদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ উঠছে। লোকসভা নির্বাচন পর্ব মেটার পর থেকে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর শাসক তৃণমূল হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয় দলের। শেষমেশ, সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবার পশ্চিমবঙ্গে চার সদস্যের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা।
রাজ্যে আছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠছে দিকে-দিকে। বিজেপির অভিযোগ, নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই তাদের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা জারি রেখেছে তৃণমূল। দিকে দিকে ঘরছাড়া বহু বিজেপি কর্মী সমর্থক, এমনই অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের তরফে বারবার অভিযোগ করা হয়েছিল। তারপরেই বাংলায় কেন্দ্রীয় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেপি নাড্ডা।
ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান সাংসদ বিপ্লব সরকারের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের প্রতিনিধি দল আসছে বাংলায়। ওই প্রতিনিধি দলে বিপ্লব সরকার ছাড়াও রয়েছেন বিজেপি সাংসদ রবি শংকর প্রসাদ, সাংসদ শ্রী ব্রিজ লাল এবং সাংসদ শ্রীমতি কবিতা পতিদার।
আরও পড়ুন- Kolkata Shootout: খাস কলকাতায় শুটআউট, গুলিবিদ্ধ যুবক ভর্তি হাসপাতালে
বিজেপির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুণ সিংহ একটি প্রেস বিবৃতিতে লিখেছেন, সম্প্রতি ২৮ টি রাজ্য এবং ৮টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লোকসভা নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। দুই রাজ্যে ক্ষমতার অদল-বদল ঘটেছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া কোথাও কোনও ধরনের রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ সামনে আসেনি।
আরও পড়ুন- TMC-Lok Sabha Election 2024: ৪ কেন্দ্রের ৭ এলাকায় ১ লক্ষের বেশি লিড, কোন ‘জাদু’তে প্রতিপক্ষকে ধুলোয় মেশাল তৃণমূল?
শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর যে ধরনের সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল তা আবারও ফিরে এসেছে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে বিজেপির তরফে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব দেখে শুনে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ বিজেপির।