Junior Doctors Hunger Strike Update: প্রবল দুর্যোগের মধ্যেও ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মঙ্গলবার অবস্থানমঞ্চের একাংশের ত্রিপল ছিঁড়ে যায় ভারী বৃষ্টির জেরে। কিন্তু দুর্যোগ মাথায় নিয়েই অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। মঙ্গলবার বেলা ১২টার পর বৃষ্টি থামে। বৃষ্টির জল ত্রিপলে জমে সেটি ছিঁড়ে যায়।
ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে গণ পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন কলকাতার প্রথম সারির সমস্ত সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্য অধিকর্তার কাছে লিখিত পদত্যাগ পত্র পাঠাচ্ছেন কলকাতার আরজি কর, এসএসকেএম, নীলরতন সরকার, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল-সহ বহু হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক পদত্যাগ করলেন।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার বিকেলে জুনিয়র ডাক্তারদের মহামিছিলের অনুমতি দেয়নি পুলিশ। একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। সেই বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সোমবার গভীর রাতে পুলিশের তরফে তাঁদের মেল করে এই কথা জানানো হয়েছে। কিন্তু মহামিছিলের জন্য অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। বিকেলের মধ্যে জানা যাবে আদৌ মিছিল হবে কি না।
আরও পড়ুন চতুর্থীতে অনশনমঞ্চে নয়া কর্মসূচির ঘোষণা, জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে কী বললেন CP?
চৌকি নিয়ে পুলিশ-ডাক্তার বচসা
প্রসঙ্গত, সোমবার চৌকি অবস্থানমঞ্চে রাখা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে চাপানউতোর হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। ডাক্তাররা জানান, অনশন মঞ্চের জন্য কয়েকটি চৌকি আনা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ চৌকিবোঝাই সাইকেল ভ্যান আটকে দেয়। মঞ্চ পর্যন্ত পৌঁছতে দেয়নি পুলিশ। কিছু চেয়ারও বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরে রাতের দিকে বউবাজার থানার সামনে চৌকির জন্য বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা। থানার সামনেই অবস্থানে বসে পড়েন তাঁরা। পরে পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ বচসার পর মাথায় করে সেই চৌকি জুনিয়র ডাক্তাররা অবস্থান মঞ্চে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন জুনিয়র ডাক্তারদের মনোবল বাড়াতে পাশে সিনিয়ররাও, শুরু প্রতীকী অনশন
জলের গাড়ি আটকাল পুলিশ
মঙ্গলবার চৌকির পর জলের গাড়ি আসতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। ধরনামঞ্চে আসার আগে জলের গাড়ি আটকানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। ধর্মতলায় পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান জুনিয়র ডাক্তাররা। দীর্ঘ বচসার পর জলের গাড়ি ছাড়ে পুলিশ।
মুখ্যসচিবের আবেদন
এদিকে, সোমবারই সাংবাদিক বৈঠক করে অনশনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। জানিয়েছেন, ১০ তারিখের মধ্যে আন্দোলনকারীদের দাবি মতো ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তাই অনশন তুলে কাজে ফিরুক জুনিয়র ডাক্তাররা, আবেদন মুখ্যসচিবের।