Advertisment

মেডিক্যালে ভর্তি দুর্নীতি: একঘন্টার মধ্যে নির্দেশে নয়া মোড়, বিচারপতি গাঙ্গুলির সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ

Shejkh Shajahan Sandeshkhali: মেডিক্যালে ভর্তিতে শংসাপত্র দুর্নীতি মামলায় মামলাকারী ইতিশা সোরেনের অভিযোগ, ২০২৩ সালের নিট দিয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। যোগ্য প্রার্থী হয়েও তিনি বঞ্চিত হন বলে ইতশার দাবি। কারণ, প্রায় ২৭ জনের নামে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন দখল করেছেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Suvendu Adhikaris lawyer approached HC afer receiving summons from Lalbazar

Suvendu Adhikari: কলকাতা হাইকোর্ট।

Medical College Recruitment Scam Case: মেডিক্যালে নিট পরীক্ষায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশের উপর মৌখিকভাবে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিল বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল রাজ্য। মৌখিকভাবে করা সেই আবেদন শুনে মৌখিক ভাবেই সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই স্থগিতাদেশ কার্যকর হবে কি না সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বৃহস্পতিবার। মেডিক্যাল কলেজ সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্যের মামলাটির শুনানি বৃহস্পতিবার হবে ডিভিশন বেঞ্চে।

Advertisment

এমবিবিএস পরীক্ষায় ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এরপর ইতিশা সোরেন আদালতে মামলা করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, তফসিলি উপজাতি না হওয়া সত্ত্বেও অনেক পড়ুয়া ভুয়ো শংসাপত্র ব্যবহার করে সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়েছেন। ওই সরকারি কলেজের তালিকায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে।

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন সাফ জানিয়ে দেন, এইসব দুর্নীতির তদন্তের ক্ষেত্রে পুলিশের উপর আদালত আর কোনওভাবেই আস্থা রাখতে পারছে না। ফলে মেডিক্যালে নিট পরীক্ষায় ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র মামলায় সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হচ্ছে। আর্থিক কোনও দুর্নীতি হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখা দরকার বলে মনে করেন বিচারপতি। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই সরব হন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। পাল্টা তাঁকে থামিয়ে বিচারপতি জানতে চান, সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানকে কি গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ? বিচারপতি বলেন, 'রাজ্যটা দিনে দিনে কয়েক জন দুর্নীতিগ্রস্তের আখড়ায় পরিণত হচ্ছে। অথচ এত কিছুর পরেও পুলিশের তরফে কোনও সদর্থক ভূমিকা চোখে পড়ছে না। এ রাজ্যের পুলিশ কর্তৃপক্ষের উপর তাই এই আদালতের কোনও আস্থা নেই।'

আরও পড়ুন- Mamata Banerjee on Congress: বাংলায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই! ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন মমতার মন্তব্যে

মেডিক্যালে ভর্তিতে শংসাপত্র দুর্নীতি মামলায় মামলাকারী ইতিশা সোরেনের অভিযোগ, ২০২৩ সালের নিট দিয়ে বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। যোগ্য প্রার্থী হয়েও তিনি বঞ্চিত হন বলে ইতশার দাবি। কারণ, প্রায় ২৭ জনের নামে ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে সরকারি মেডিক্যাল কলেজের আসন দখল করেছেন।

মামলার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এই মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রছাত্রীদের নাম ও ঠিকানা এবং জাতিগত শংসাপত্র হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে মেডিক্যাল এডুকেশন বোর্ডের ডিরেক্টরকে ডেকে পাঠিয়ে বিচারপতির প্রশ্ন করেছিলেন, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগ ভিত্তিহীন হতেই পারে, কিন্তু সেই অভিযোগের কেন তদন্ত করল না বোর্ড? সব পক্ষের হলফনামা পাওয়ার পর আদালত মনে করেছেন অভিযোগের ভিত্তি রয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

Medical students sheikh shahjahan tmc cbi Sandeshkhali justice abhijit ganguly
Advertisment