Malda News: দুই গোষ্ঠীর গোলমালে জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে কালিয়াচক থানার দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায়। রীতিমতো বন্দুক হাতে দুষ্কৃতীরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে দুষ্কৃতীদের তান্ডবের একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
সংশ্লিষ্ট এলাকার একাংশ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, অল্পবয়সী কিছু দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যেই অস্ত্র নিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। দোকান থেকে বাড়ি চাঁদাবাজি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করাতেই রীতিমতো প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কালিয়াচক থানার পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি। এখন পুরো বিষয়ে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার একাংশ ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা।
এদিকে দুষ্কৃতীদের এই তান্ডবের ঘটনাই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পাল্টা বিজেপির এই যে অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,গত কয়েকদিন ধরে এলাকা দখল নিয়ে দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকার দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছে।
কালিয়াচক ১ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন অপর তৃণমূলের স্থানীয় নেতা আনিকুল সেখ। তাঁর অভিযোগ, আমরাও তৃণমূল করি। কিন্তু দলের ব্লক সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখ এলাকার কংগ্রেসীদের মদত জোগাচ্ছে। ওদের দলের আশ্রিত দুষ্কৃতিদের তোলাবাজিতে সাহায্য করছে। কিছুদিন ধরে এলাকায় দুষ্কৃতীরা বিভিন্ন দোকান থেকে মোটা টাকা তোলার হুমকি দিচ্ছে। শনিবার রাতে ওরা বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর করে । পাশাপাশি টাকা ও অলংকার লুট করে নেয়। গত কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীদের অস্ত্র নিয়ে দাপাদাপির একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তারপরেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।যদিও এই অভিযোগের কথা সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছেন তৃণমূলের কালিয়াচক ১ ব্লক সভাপতি মহম্মদ সারিউল শেখ । তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
বিজেপির দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরি বলেন, শাসক দলের মদতেই দুষ্কৃতীদের এত বাড়-বাড়ন্ত হয়ে উঠেছে কালিয়াচকে। রীতিমতো পুলিশও নিশ্চুপ রয়েছে। দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর এলাকায় এমন সন্ত্রাসের ছবি ভাইরাল হয়েছে যা দেখেছি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি শুভময় বসু বলেন, এখানে দলের কোনও যোগ নেই। পুরনো কোনও গ্রাম্য বিবাদকে ঘিরে এমন ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। তবে দুষ্কৃতীদের ধরতে পুলিশ কড়া হাতে ব্যবস্থা নিচ্ছে। পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।