স্ত্রীর মৃত্যুর পর 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র প্যারোলে মুক্ত ছিলেন। সোমবার সকালেই সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে। ফলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত 'কাকু'কে ফিরতে হয় প্রেসিডেন্সী সংশোধনাগারে। আর তারপরই ঘটে বিপত্তি। হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন 'কালীঘাটের কাকু'। জানা গিয়েছে, জেলেই বমি করেন তিনি। এরপরই সংশোধনাগারের চিকিৎসক প্রাথমিক ভাবে সুজয়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করেন। দেখা যায়, তাঁর রক্তচাপ এবং অক্সিজেনের মাত্রায় কিছু তারতম্য হয়েছে। এরপরই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুকে ব্যথার কারণেই সুজয়কৃষ্ণকে এদিন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, আপাতত সুজয়কে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর ইসিজি করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
রাজ্যে শিক্ষায় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গত ৩০ মে প্রায় ১২ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে 'কালীঘাটের কাকু' সুজকৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সেতুবন্ধনের কাজ করেছিলেন 'কাকু'। অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ ছিল। ২০১৮ সাল থেকে এই দুর্নীতিতে 'কাকু' জড়িত বলে দাবি করেছে ইডি।
আরও পড়ুন- বিরাট ফাঁপড়ে অভিষেক! সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে বেনজির পদক্ষেপ আদালতের
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে সুজয়কৃষ্ণকে। তাঁর জেলবন্দি অবস্থাতেই 'কাকু'র স্ত্রী বাণী ভদ্রের মৃত্যু হয়। দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তবে মৃত্যুর সময় স্ত্রীর কাছে থাকতে পারেননি সুজয়। প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি অবস্থাতেই স্ত্রী বিয়োগের খবর পেয়েছেন তিনি। তারপর জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। তবে সুজয়কে স্ত্রীর মৃত্যুর কারণে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। পরে পারলৌকিক ক্রিয়ার জন্য প্যারোলের মেয়াদ আরও কিছু দিন বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে মুক্তির পাশাপাশি 'কালীঘাটের কাকু'র জন্য বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দিয়েছিল আদালত।
আরও পড়ুন- মরিয়াভাবে চেয়েও পারছেন না, গত দু’দিনের তুলকালামের পর বিরাট পদক্ষেপ নওশাদের
স্ত্রীর প্রয়াণের পর পরিস্থিতি বিবেচনা পরে সুজয়ের প্যারোলের মেয়াদ ১৬ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এরপরই সোমবার (১৭ই জুলাই, ২০২৩) সকালে তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে আসা হয়।