সিবিআই তলব এড়ালেন 'কালীঘাটের কাকু'। আইনজীবী মারফত সিবিআইয়ের হাতে এদিন কিছু ডকুমেন্ট পাঠিয়ে দিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। উল্লেখ্য, গোপাল দলপতি, তাপস মণ্ডলের বর্ণনা করা 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে আজ সশরীরে কলকাতার নিজাম প্যালেসের দফতরে হাজিরা দিতে বলেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
গত সপ্তাহে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে একটানা কয়েক ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেই সময়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে লক্ষ-লক্ষ টাকার লেনদেন প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিলেন গোয়েন্দারা। সিবিআই সূত্রে খবর, সেই সময়ে গোয়েন্দাদের প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সেই কারণেই আবারও আজ সোমাবর তাঁকে নিজাম প্যালেসে তলব করে সিবিআই। এদিন তাঁকে স্ত্রী ও কন্যার ব্যাঙ্ক ডিটেলস নিয়ে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- একটানা জিজ্ঞাসাবাদে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল ED-র জালে
যদিও নিজে না গিয়ে আইনজীবী মারফত কিছু ডকুমেন্টস এদিন সিবিআইকে পাঠিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র, এমনই খবর সূত্রের। উল্লেখ্য, 'কালীঘাটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম প্রথম প্রকাশ্যে এনেছিলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত গোপাল দলপতি। তিনি জানিয়েছিলেন, চাকরি বিক্রি-কাণ্ডে ধৃত সদ্য বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষই 'কালাঘীটের কাকু' ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম করেই তাঁর কাছ থেকে টাকা চাইতেন।
আরও পড়ুন- দুর্যোগের মেঘ এখনই সরছে না, আজও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা একাধিক জেলায়
গোপাল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আনতেই তাঁর খোঁজ শুরু হয়ে যায়। শেষমেশ তাঁর হদিশ মেলে। তারপর থেকে একবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পেরেছে সিবিআই। দ্বিতীয়বার তলবে হাজিরা এড়িয়েছেন কালীঘাটের কাকু। তবে সিবিআই সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতিতে আষ্ঠেপৃষ্ঠে যোগ রয়েছে এই ব্যক্তিরও। 'চাকরি বিক্রি'র একটি বড় অংশের টাকার ভাগ তাঁর কাছেও গিয়েছে বলে একপ্রকার নিশ্চিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।