/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2024/07/Kalna-Chairman.jpg)
নিরাপত্তারক্ষীকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিলেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান।
Kalna Municipality Chairman: কলকাতায় কাউন্সিলর দলের যুবনেতাকে মারধর করছেন, সেই ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল। এছাড়া তৃণমূল নেতা, দলীয় বিধাযক, সাংসদ ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধেও মারধরের নানা অভিযোগে তোলপাড় বাংলা। এবার পূর্ব বর্ধমানের কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান (Kalna Municipality Chairman) আনন্দ দত্ত এক নিরাপত্তা কর্মীকে কর্মরত অবস্থায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিচ্ছেন, সেই ছবি চূড়ান্ত ভাইরাল। কেন মারলেন জানতে চাওয়া হলে চেয়ারম্যান ও সাঙ্গপাঙ্গদের মস্তানি চলতে থাকে।
মন্দিরের শহর কালনা। ১০৮ শিব মন্দির, কৃষ্ণচন্দ্রজি মন্দির রয়েছে। উৎসবের দিনগুলিতে এখানে ভিড় থাকে। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, জলের জার নিয়ে একটি টোটো কৃষ্ণচন্দ্রজি মন্দিরের দিকে প্রবেশ করছে। তখন কর্তব্যরত নিরাপত্তা কর্মী তাঁকে টোটো নিয়ে ভিতরে যেতে নিষেধ করেন। তা্র কথা না শুনে টোটো চালিয়ে ভিতরে ঢুকে যায়। কিছুটা যাওয়ার পর ফের টোটোটাকে যেতে বারণ করা হয়। তখন সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্ত। চিৎকার জুড়ে দেন আনন্দ দত্ত। তিনি ছুটে গিয়ে ওই নিরাপত্তা কর্মীকে ধাক্কা মারতে থাকেন। নিরাপত্তা কর্মীরা বলতে থাকেন, 'আপনি চেয়ারম্যান। এটা কোনও ভদ্রলোকের ভাষা।' এই ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
কী সাফাই দিলেন পুরপ্রধান?
এদিকে অভিযুক্ত কালনা পুরসভার পুরপ্রধান আনন্দ দত্তকে এই প্রসঙ্গে ফোন করা হয়েছিল। তিনি শরীর অসুস্থ বলে ফোন কেটে দেন। কালনার বিধায়ক দেবপ্রসাদ বাগ বলেন, "জনপ্রতিনিধিদের এই রকম আচরণ ঠিক নয়। দল এগুলোকে সমর্থন করে না। ব্যক্তিগত ভাবে কিছু জনপ্রতিনিধি এমন কাজ করেন। তা ঠিক নয়। সর্বোপরি অন ডিউটি অবস্থায় কারও গায়ে হাত দেওয়া উচিত না। তৃণমূল কংগ্রেস এ সমস্ত বিষয় বরদাস্ত করে না। দল কাউকে এমন কাজ করতে বলেনি। বরং সুশৃঙ্খল থাকতে বলে। এখনও পর্যন্ত এটাকে কোনও সমর্থন নয়। আমি জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানাব।"
আরও পড়ুন কুকর্মে বাধা দিতেই বেধড়ক মার, মাথা ফাটল পুলিশের, খাস কলকাতাতেই আক্রান্ত আইনের রক্ষক
কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের এমন কাণ্ডে ঢিঢি পড়ে গিয়েছে পূর্ব বর্ধমানে। পুরপতি আনন্দ দত্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন দলেরই একাংশ। তাঁদের বক্তব্য়, এই ঘটনার উপযুক্ত ব্য়বস্থা নিতে হবে। এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। দলীয় নেতৃত্ব এখন কী ব্যবস্থা নেন সেটাই এখন দেখার।