স্কুলে সাপের আতঙ্কে তটস্থ পড়ুয়া থেকে শুরু করে শিক্ষিকারা। তারই জেরে হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষা বন্ধ করে স্কুল ছুটি দিয়ে দিতে হল কর্তৃপক্ষকে। শুক্রবার এমনই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কালনার মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশনে। স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজে সাপের দেখা মিললেও সর্প বিশারদের দল সারাদিন গোটা স্কুল হাতরেও সাপের দেখা পায়নি।
Advertisment
কালনাবাসীর একাংশের আরাধ্য দেবী মহিষমর্দিনী। সেই দেবীকে স্মরণে রেখেই বহুকাল আগে প্রতিষ্ঠিত হয় মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশন। এই স্কুলটি কালনা শহরের পুরনো স্কুলগুলির মধ্যে অন্যতম। এই স্কুলে পঞ্চম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। স্কুলের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় আটশোর মতো। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলের নিরিখে এই স্কুলের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
কর্তৃপক্ষের কথায় জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে মহিষমর্দিনী গার্লস ইনস্টিটিউশ পঞ্চম শ্রেণী থেকে নবম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ুয়াদের হাফ-ইয়ার্লি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবার স্কুলে সাপ ঘোরাঘুরির বিষয়টি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। আর তা নিয়েই চুড়ান্ত আতঙ্ক তৈরি হয় স্কুলের পড়ুয়া ও শিক্ষিকাদের মধ্যে।
শিক্ষিকা টিনা শীল বলেন, 'সাপের আতঙ্কে এদিনের পরীক্ষা ভেস্তে যায় । ছুটি দিয়ে দিতে হয় স্কুলে। খবর দেওয়া হয় স্বর্প বিশারদকে। সর্প বিশারদের দল স্কুলের কোনায় কোনায় খোঁজাখুঁজি করলেও সাপের দেখা পায়নি।'
তবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে স্বর্প বিশারদরা স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, সাপটি বিষধর নয়। এর পরেই স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, এদিন সাপের আতঙ্কে পরীক্ষা ভণ্ডুল হয়ে গেলেও শনিবার পরীক্ষা হবে। শিক্ষিকারা পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দিলেও আতঙ্ক কাটিয়ে ছাত্রীরা সবাই পরীক্ষা দিতে আসে কিনা সেটাই দেখার বিষয় ।