Hooghly TMC Leader Murder Update: কোন্নগরের কানাইপুরে তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী খুনে এবার গ্রেফতার একসময়ের হুগলির ত্রাস বাঘা। ইতিমধ্যে এই খুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান ধৃত ও আটকদের বাইরেও আরও কয়েকজন নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত রয়েছে। দিন কয়েক আগেই হুগলির কোন্নগরের কানাইপুরে নিজের গ্যাস অফিস থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার সময় নৃশংসভাবে খুন হন তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী। নিহত ব্যক্তি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর ঘনিষ্ঠ।
কানাইপুরে তৃনমূল নেতা খুনে এবার গ্রেফতার বাঘা। সেই বাঘা যার নামে একসময় কানাইপুর কাঁপতো। বাঘা ওরফে ভোলানাথ দাস একসময় কোন্নগরের কুখ্যাত ডন হুব্বা শ্যামল এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচিত হতো পুলিশ প্রশাসনের কাছে। হেন কোন অপরাধ নেই যা বাঘা করেনি।
জনশ্রুতি নিজের হাতেই শত্রুর গলা কেটে দিতে সিদ্ধহস্ত ছিল বাঘা। বর্তমানে ষাট উর্দ্ধ বাঘা পুলিশের তাড়া খেয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হুগলি জেলা ছেড়ে বাঁকুড়াতে থাকতো। কিন্তু সেই যে পিন্টুকে হত্যা করার জন্য ছক কষেছিল সেটা পুলিশ ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি। এনিয়ে মোট চারজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
বাঘা ওরফে ভোলানাথ দাসের ভাই বিশে ওরফে বিশ্বনাঘ দাস সহ দুই ভাড়াটে খুনিকে গতকালই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ডিসি শ্রীরামপুর অর্ণব বিশ্বাস জানান, গতকালই বিশে স্বীকার করেছে দাদার কথামতোই সে ভাড়াটে খুনির ব্যবস্থা করেছিল। তাই বাঁকুড়ার সোনামুখী থেকে বাঘাকে গ্রেফতার করা হয় এদিন সকালে।
কানাইপুরে জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে তৃনমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের পরিকল্পনা করে বাঘা।তার ভাই বিশে তিন লাখ টাকা দিয়ে বারাসাত ও শাসনের দুই খুনিকে ভাড়া করে। এদিন সকালে ধৃতদের শ্রীরামপুর আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে জানিয়েছেন উত্তরপাড়া থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ অমিতাভ সান্যাল। উল্লেখ্য, বুধবার নৃশংস ভাবে খুন হয়েছিলেন হুগলির জনপ্রিয় তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তী।