ভোট পরবর্তী হিংসায় সন্তানহারা মায়েদের কান্নার শব্দ শোনা যাবে কাঁকুড়গাছিতে অভিজিৎ সরকার প্রতিষ্ঠিত দুর্গাপুজোয়। ২০২১ নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় খুন হয়েছিলেন কাঁকুড়গাছির বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার। তবে ভাইয়ের স্মৃতি রক্ষায় পুজো করে আসছে বিশ্বজিৎ সরকাররা। এবার এই দুর্গাপুজো ৩ বছরে পড়েছে। দুর্গা মূর্তিও তৈরি হয়েছে বাংলার মায়েদের অত্যাচার অবলম্বন করে।
বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকার ২০২০-তে এই দুর্গাপুজো শুরু করেছিলেন। ২০২১ নির্বাচন পরবর্তী হিংসার বলি হন অভিজিৎ। তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্য়ে পুজো চালু রয়েছে। পুজোর অনুমতি দেয়নি কলকাতা পুলিশ। শেষমেশ হাইকোর্ট অবধি গড়িয়েছে। এবারও পুজোতে হাজির থাকার কথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপির নেতৃত্বের। পুজোতে তুলে ধরা হচ্ছে বাংলার ৬০জন সন্তানহারা মায়ের কান্না।
বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, '২০২১ নির্বাচন পরবর্তী হামলায় মৃত্যু হয়েছে ভাইয়ের। সেই বছর থেকে পুজো শুরু করে ভাই। এবার দুর্গার থিমের মূর্তিতে থাকছে বাংলায় মায়েদের ওপর নির্যাতনের করুণ কাহিনী। মা দুর্গার কোলে একটা বাচ্চা রয়েছে। দেবীর পায়ের নীচে ধর্ষিতা মহিলা, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর বাচ্চাকে মা দুর্গা রক্ষা করছেন।' এবারের পুজোর থিম, 'মায়েদের কান্না, রক্তাক্ত বাংলা।'
বাংলার দুর্গাপুজোকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছে ইউনেস্কো। ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে কলকাতাসহ রাজ্যের সর্বত্র শুভেচ্ছা পদযাত্রা করা হয়েছে সরকারি উদ্যোগে। দুবছর করনো আবহের পর এবার দুর্গাপুজোয় মেতেছে সারা বাংলা। জৌলুষের মধ্যে কাঁকুড়গাছির এই পুজোতে বিষাদের ছায়া। এমনকী গত বছর এই পুজোতে হামলার অভিযোগ উঠেছিল। বিশ্বজিৎ বলেন, 'আমাদের মন্ডপে সানাইয়ের সুর বাজবে না মায়েদের কান্নার শব্দ শোনা যাবে। তার ব্যাকগ্রাউন্ডে কবিতা আছে। মন্ডপ অন্ধকার থাকবে। ভোট পরবর্তী হিংসায় সন্তানের মৃত্যুর সময় মায়েরা কান্না করেছিল। মন্ডপের পাশে বেশ কয়েকজন সন্তানহারা মায়েদের ছবিও থাকবে। নির্বাচন পরবর্তী হিংসার প্রতিবাদে এই দুর্গা পুজো।'
সামনের বছরই রাজ্যে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনেও রাজ্য উত্তপ্ত হয়েছিল। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনেও হিংসার আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। বিশ্বজিতের আবেদন, 'সামনের পঞ্চায়েত ভোটে যাতে আর কোনও অশান্তি না হয়।'