‘কার্তিক ঠাকুর হ্যাংলা, একবার আসে মায়ের সঙ্গে, একবার আসে একলা’, পরিচিত একটি বাংলা সিনেমার এই সংলাপ যেন কার্তিক পুজোর মন্ত্রের সমান। তবে তৃণমূল বিধায়কের অফিসে যে কার্তিক এসেছেন, তিনি একলা আসলেও, হ্যাংলা নন। জেলার বিধায়কের বাড়িতে কিন্তু তিনি নিজে থেকে আসেননি, বরং তাঁকে ‘জোর’ করেই রেখে দিয়ে গেলেন কয়েকজন। কিন্তু তাই বলে তৃণমূলের জেলা অফিসে ‘কার্তিক’? বিরোধী দলের কোনো চক্রান্ত নেই তো? প্রশ্ন শুনে হেসেই খুন আরামবাগ মহকুমার অন্তর্গত গোঘাট বিধানসভার বিধায়ক মানস মজুমদার।
আরও পড়ুন- হাত ধুয়ে তবেই ফুচকা, সঙ্গে অ্যাকোয়া গার্ডের তেঁতুলজল
ঠিক কী ঘটেছে?
চলতি বছরের স্বাধীনতা দিবসের দিন পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হয়েছিলেন গোঘাট বিধানসভার বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা মানস মজুমদার। নব বিবাহিতদের বাড়িতে কার্তিক ঠাকুর ফেলে দেওয়ার একটা রঙ্গ রসিকতা এখনও চলে আসছে বঙ্গ সমাজে। মানসবাবুর মত, স্থানীয় বাসিন্দারাই এই ‘গোপন কম্মো’টি করেছেন। তৃণমূল নেতা বলেন, “কার্তিক যখন ফেলেছেন তখন তো পুজো করতেই হবে। তবে এই পুজোর অনেক রীতিনীতি আছে। যা এখানে আমার পক্ষে সম্ভব নয় । তাই আমি এই প্রতিমা আমার আদিসপ্তগ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাবো। সেখানে মা-কাকিমারা পুজো করবেন। সস্ত্রীক সেখানে উপস্থিত থাকব আমি।”
আরও পড়ুন- ‘দাঁত ভাল নেই’ মহাকাশ অভিযানের আশা ছাড়তে হল বহু ভারতীয় পাইলটকে
প্রসঙ্গত, জন্মসূত্রে আদিসপ্তগ্রামের বাসিন্দা হলেও, কর্মসূত্রে গোঘাট থানার পাশেই একটি বাড়ী ভাড়া নিয়ে থাকেন এলাকার বিধায়ক মানস মজুমদার। সেই বাড়ির নীচেই তাঁর পার্টি অফিস। গতকাল ‘কার্তিক’ রেখে যাওয়া ‘কালপ্রিট’দের চিহ্নিত করতে না পারলেও কার্তিক রেখে দেওয়ার পর রীতিমত বাজি ফাটিয়ে উৎসব করেছেন তাঁরা, এমনটাই জানালেন মানস মজুমদার। যদিও পুরো বিষয়টিকে মজার ছলেই নিয়েছেন বিধায়ক। আপাতত রবিবারে রাজনৈতিক কাজকর্ম তুলে রেখে বাড়িতে কার্তিক পুজোয় মগ্ন হবেন তৃণমূল নেতা।
Get all the Latest Bengali News and West Bengal News at Indian Express Bangla. You can also catch all the West-bengal News in Bangla by following us on Twitter and Facebook
Web Title: