Kasba Law College gang-rape: কসবার কলেজে গণধর্ষণ কাণ্ডে এবার ওই ল' কলেজেরই নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নির্যাতিতা ছাত্রীর অভিযোগ ছিল, তিনি সাহায্য চেয়েও পাননি ওই নিরাপত্তারক্ষীর কাছ থেকে। ওই নিরাপত্তারক্ষীর ভূমিকা নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন উঠেছিল। শেষমেষ তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নির্যাতিতা ছাত্রী পুলিশে যে অভিযোগ জানিয়েছেন, তাতে ওই নিরাপত্তারক্ষীর আচরণের বিরুদ্ধেও চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। তাকে সাহায্য করার বদলে কলেজের গার্ডরুম থেকে বেরিয়ে চলে যান এই নিরাপত্তারক্ষী। এককথায় সব ঘটনা জেনেও মুখ বুঝে ছিলেন তিনি। মেয়েটির সঙ্গে যখন কলেজের গার্ডরুমে নারকীয় ওই ঘটনা চলছে, কলেজের নিরাপত্তারক্ষী তখন ছিলেন বাইরে।
নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে প্রথমে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র সহ কসবার ল' কলেজের ছাত্র জাহিদ আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরবর্তী সময়ে ওই ল' কলেজের নিরাপত্তারক্ষী পিনাকী বন্দোপাধ্যায়কে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিকরা। কেন ঘটনার দিন ডিউটিতে থাকালীনও তিনি ওই তরুণীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাননি, সে ব্যাপারে তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার বক্তব্যে অসঙ্গতি থাকায় তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates: কসবার ল' কলেজে গণধর্ষণের সময় ঘটনাস্থলেই ছিলেন এই ব্যক্তি, পুলিশ ধরল তাকেও
এদিকে কসবার ওই কলেজে যে এজেন্সি থেকে নিরাপত্তারক্ষীদের পাঠানো হয় সেই এজেন্সির কর্ণধার যা বলেছেন তা রীতিমতো আতঙ্কের। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির কাছে তাঁর দাবি, 'কলেজের কয়েকজনের ভয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের মুখ খোলার উপায় নেই। ওরা যদি এমন কিছু করে তাহলে ওদের মেরে দেবে।' ওরা এতটাই ক্ষমতাশালী যে ওদের ভয়ে সব জেনেও নাকি কিছু করতে পারেননি ওই নিরাপত্তারক্ষী।
আরও পড়ুন- Kasba gang rape:'কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিয়ন্ত্রণ তৃণমূলের গুন্ডা-ধর্ষকদের হাতে', কসবার গণধর্ষণ নিয়ে সোচ্চার শুভেন্দু