Madan Mitra On kasba Gangrape: কসবা গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, প্রতিবাদের ঢেউ আছড়ে পড়েছে রাজপথে। এই ঘটনায় সামনে এসেছে শাসক-যোগ। তা নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করতে ছাড়েনি বাম-বিজেপি। এসবের মাঝেই নির্যাতিতা তরুণীর সেদিনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়ালেন কামারহাটির বিধায়ক তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। তা নিয়ে এবার আসরে নেমেছে বিজেপি।
মদন মিত্রের বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে ধুন্ধুমার, ফের তৃণমূলের বিরুদ্ধে নিগৃহীতাকে অপমানের অভিযোগ বিজেপির। দক্ষিণ কলকাতার আইন কলেজে ছাত্রীর উপর ঘটে যাওয়া ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিলেন তৃণমূল নেতা তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ মদন মিত্র। এদিন মদন মিত্র বলেন, “মেয়েটা যদি সেদিন না যেত, তাহলে এটা ঘটত না। কেউকে জানালে বা দু’জন বন্ধু সঙ্গে থাকলে হয়তো এই ঘটনা এড়ানো যেত।” মদনের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলের তীব্র প্রতিক্রিয়া। অভিযোগ উঠেছে, ফের একবার তৃণমূল নির্যাতিতা তরুণীকেই দোষারোপ করে প্রকৃত অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আর এনিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি।
বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অতিম মালব্য মদন মিত্রের এই বক্তব্য নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছেন। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী মদন মিত্রের আরেকটি লজ্জাজনক মন্তব্য"।
"যদি ওই মেয়েটি না যেত, তাহলে এই ঘটনা এড়ানো যেত,যদি সে কাউকে জানাত অথবা দুজন বন্ধুকে সাথে নিয়ে যেত, তাহলেও সেদিনের এই ঘটনা এড়ানো ।" এই বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট তৃণমূল আবারও শাসক ঘনিষ্ঠ ছাত্রনেতাকে রক্ষা করার জন্য মহিলার বিরুদ্ধে অপবাদ দেওয়াকেই হাতিয়ার হিসাবে বেছে নিয়েছে - তাকে সমর্থন করার পরিবর্তে"। তিনি আরও লিখেছেন, "এই বক্তব্য থেকে আরও এক বিষয় স্পষ্ট, এই তৃণমূলের শিকারীদের হাত থেকে কোনও মহিলাই নিরাপদ নন। আর তৃণমূলের মদন মিত্রের মতো ব্যক্তিদের সম্পর্কে যত কম বলা হবে, ততই ভালো" ।
এদিকে কসবায় নামী আইন কলেজে ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় তদন্তে গতি আনতে পাঁচ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) গঠন করল কলকাতা পুলিশ। এই SIT-র নেতৃত্বে রয়েছেন এসএসডি-র সহকারী পুলিশ কমিশনার প্রদীপ ঘোষাল। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দৃঢ় প্রমাণ সংগ্রহে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে তদন্তকারী দলকে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন কলেজের নিরাপত্তারক্ষী। ঘটনায় সামনে এসেছে CCTV ফুটেজ ও মেডিকেল রিপোর্ট।
গোটা ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সরব হয়েছে বিজেপি। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিজেপির মুখপাত্র সম্বিত পাত্র মমতা সরকারকে তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, যেখানে একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী আছেন, সেখানে মহিলাদের সাথে কেন এত বর্বরতার ঘটনা ঘটছে? তিনি বলেন, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই জঘন্য ঘটনা সম্পর্কে একটি কমিটি গঠন করেছেন সেই কমিটিতে থাকবেন চার সদস্য থাকবেন। এই কমিটি শীঘ্রই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করবে এবং জেপি নাড্ডার কাছে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবে। তিনি তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে বলেন, আমরা মনে করি যে এই সংবাদ সম্মেলনের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত এবং ক্ষমা চাওয়া উচিত।