/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/11/cats-2025-10-11-20-58-45.jpg)
শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরল পলাশ ঘোষের কফিনবন্দি দেহ।
অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরল পলাশ ঘোষের কফিনবন্দি দেহ। কাশ্মীরে জঙ্গি দমনে তুষারঝড়ে নিহত প্যারা কম্যান্ডার পলাশ ঘোষের কফিনবন্দি দেহ ফিরল মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায়। মৃত জওয়ানের দেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের কনভয় গ্রামে পৌঁছতেই চারিদিকে কান্নার রোল।
চোখের জল, হাহাকারে বিদায় বেলায় শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে কাতারে কাতারে মানুষের ভিড় গ্রামে। রুকুনপুরের বলরামপাড়া গ্রাম জুড়ে হাহাকার। কান্নায় ভেঙে পড়লেন পলাশ ঘোষের মা, স্ত্রী, পরিবার,পরিজনেরা।
আরও পড়ুন-ঘুমের মধ্যেই ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড! ঝলসে মৃত্যু বাংলার ৬ পরিযায়ী শ্রমিকের, বাকরুদ্ধ অধীর
জাতীয় পতাকায় মোড়া কফিনে রাখা পলাশ ঘোষের দেহ আগলে রাখলেন গ্রামবাসীরা। বাড়ির কাছেই অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে বীর জওয়ানের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন আপামর মানুষ। গান স্যালুটে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হল চোখের জলে। শোকে কাতর পরিবারের আর্তনাদে বিষণ্ণতা চারিদিকে।
৪৫ দিনের ছুটি কাটিয়ে দু’সপ্তাহ আগেই কাশ্মীর রওনা দিয়েছিলেন পলাশ ঘোষ। পলাশ ঘোষের মৃত্যুর খবর পেয়ে মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্ত্রী। বাড়িতে রয়েছে ৮ বছর ও ৪ বছরের দুই কন্যা সন্তান। কান্নাকাটি দেখে তারা হতবাক।
২০০৯ সালের ২৭ শে মার্চে চাকরিতে যোগ দিয়েছিলেন পলাশ ঘোষ। অপারেশন সিন্দুরের সময় কাশ্মীরে ছিলেন মুর্শিদাবাদের বীর পুত্র। তাঁর এই অকাল প্রয়াণে শোস্তব্ধ জেলা থেকে রাজ্য।
আরও পড়ুন-কাশ্মীরে পোস্টিং, বিয়ের প্রস্তাব বারে বারে ফিরিয়েছিলেন সুজয়, ভয়ঙ্কর কিছুর আঁচ পেয়েছিলেন?