মোদী বিরোধী ইন্ডিয়া জোট গঠন করতে গিয়ে জাতীয়স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নিজের ক্ষোভের জায়গায় অনড় রয়েছেন কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। শনিবার এক ধাপ এগিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সংগঠন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কৌস্তভ। আশাবাদী হলেও খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। এরাজ্যে কংগ্রেসের জোয়ার দেখতে পাচ্ছিলেন কৌস্তভ, এখন দেখছেন ভাঁটা শুধু নয়, শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।
দিল্লি গিয়ে ভোরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক সেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বসন্তের কোকিল থেকে নানা ভাবে রাহুলের সমালোচনা করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সনিয়া-মমতা ঘনিষ্ঠতাও নজর কেড়েছে রাজনৈতিক সমালোচকদের। এই ঘনিষ্ঠতা কিছুতেই মানতে পারছেন না কৌস্তভ। তাঁকে দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বিতর্কও চলছে।
তৃণমূলের সঙ্গে কেন আমরা জোটে যেতে চাই না? শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন কৌস্তভ বাগচী। তরুণতুর্কি কংগ্রেস নেতা বলেন, 'তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করা। ২০১১ সালে জোট করে ক্ষমতায় আসার পরেও দিনের পর দিন কংগ্রেসকে ভেঙেছে। বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভা, পঞ্চায়েত ভেঙেছে। সিপিএম কিন্তু এটা করেনি। সিপিএমের সঙ্গে মারপিট, খুন, জখম হয়েছে কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জোর করে দলে টেনে নেয়নি।'
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগে বিরাট ঘোষণা অভিষেকের, কী বললেন?
এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস নিয়েই ভয়ঙ্কর তোপ দাগেন কৌস্তভ। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, 'দিনের পর দিন দলকে ক্ষতম করার ব্রত যারা নিয়েছে তাদের হাওয়া দিয়ে যাব। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস তুলে দিয়ে বলুক এটা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে তো কোনও অসুবিধা নেই। মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে না। এই জায়গা নিয়ে বরাবর আওয়াজ তুলেছি তুলবো।'
আরও পড়ুন- হঠাৎ কী হল? বৈশাখী রইলেন গাড়িতেই, পার্থর সঙ্গে দেখা করতে শোভন ছুটলেন কোর্ট লকআপে!
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম শূন্য হয়ে গিয়েছিল। বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি ছিল না তাদের। এ বছর মুর্শিদাবাদে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রর্থী বায়রন বিশ্বাস বামেদের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয় পান। মুসলিম ভোট ব্যাংকে ধ্বস নামায় চিন্তায় পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষমেশ বায়রন আর কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিশ্বাস ধরে রাখতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দেন। কৌস্তভের কথায়, 'কংগ্রেসের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বাড়ছিল। কংগ্রেসের প্রতি একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানের পর একটা জোয়ার লক্ষ্য করছিলাম। জোয়ারের জায়গায় মারাত্মক ভাঁটা তৈরি হচ্ছে। ভাঁটা নয়, অনেক নদী যেমন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, মাঠ হয়ে যায়। সেই অবস্থা হতে চলেছে তৃণমূলের সঙ্গে দলের এই ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।'
বিপ্লব থামছে না কৌস্তভের! প্রদেশ কংগ্রেস নিয়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরক মন্তব্য
এরাজ্যে কংগ্রেসের জোয়ার দেখতে পাচ্ছিলেন কৌস্তভ, এখন কি বলছেন?
Follow Us
মোদী বিরোধী ইন্ডিয়া জোট গঠন করতে গিয়ে জাতীয়স্তরে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নিজের ক্ষোভের জায়গায় অনড় রয়েছেন কংগ্রেস নেতা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী। শনিবার এক ধাপ এগিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে প্রদেশ কংগ্রেস সংগঠন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কৌস্তভ। আশাবাদী হলেও খুব একটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না তিনি। এরাজ্যে কংগ্রেসের জোয়ার দেখতে পাচ্ছিলেন কৌস্তভ, এখন দেখছেন ভাঁটা শুধু নয়, শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে।
দিল্লি গিয়ে ভোরে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক সেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে বসন্তের কোকিল থেকে নানা ভাবে রাহুলের সমালোচনা করেছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আবার ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে সনিয়া-মমতা ঘনিষ্ঠতাও নজর কেড়েছে রাজনৈতিক সমালোচকদের। এই ঘনিষ্ঠতা কিছুতেই মানতে পারছেন না কৌস্তভ। তাঁকে দলের মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় বিতর্কও চলছে।
তৃণমূলের সঙ্গে কেন আমরা জোটে যেতে চাই না? শনিবার ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে সেই ব্যাখ্যা দিয়েছেন কৌস্তভ বাগচী। তরুণতুর্কি কংগ্রেস নেতা বলেন, 'তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে ওয়ান পয়েন্ট এজেন্ডা কংগ্রেসকে সাইনবোর্ডে পরিণত করা। ২০১১ সালে জোট করে ক্ষমতায় আসার পরেও দিনের পর দিন কংগ্রেসকে ভেঙেছে। বিধায়ক, সাংসদ, পুরসভা, পঞ্চায়েত ভেঙেছে। সিপিএম কিন্তু এটা করেনি। সিপিএমের সঙ্গে মারপিট, খুন, জখম হয়েছে কিন্তু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের জোর করে দলে টেনে নেয়নি।'
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগে বিরাট ঘোষণা অভিষেকের, কী বললেন?
এরপরই প্রদেশ কংগ্রেস নিয়েই ভয়ঙ্কর তোপ দাগেন কৌস্তভ। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, 'দিনের পর দিন দলকে ক্ষতম করার ব্রত যারা নিয়েছে তাদের হাওয়া দিয়ে যাব। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস তুলে দিয়ে বলুক এটা পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস। তাহলে তো কোনও অসুবিধা নেই। মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে থাকে না। এই জায়গা নিয়ে বরাবর আওয়াজ তুলেছি তুলবো।'
আরও পড়ুন- হঠাৎ কী হল? বৈশাখী রইলেন গাড়িতেই, পার্থর সঙ্গে দেখা করতে শোভন ছুটলেন কোর্ট লকআপে!
২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম শূন্য হয়ে গিয়েছিল। বিধানসভায় কোনও প্রতিনিধি ছিল না তাদের। এ বছর মুর্শিদাবাদে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেস প্রর্থী বায়রন বিশ্বাস বামেদের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে জয় পান। মুসলিম ভোট ব্যাংকে ধ্বস নামায় চিন্তায় পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। শেষমেশ বায়রন আর কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে বিশ্বাস ধরে রাখতে না পেরে তৃণমূলে যোগ দেন। কৌস্তভের কথায়, 'কংগ্রেসের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন বাড়ছিল। কংগ্রেসের প্রতি একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানের পর একটা জোয়ার লক্ষ্য করছিলাম। জোয়ারের জায়গায় মারাত্মক ভাঁটা তৈরি হচ্ছে। ভাঁটা নয়, অনেক নদী যেমন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়, মাঠ হয়ে যায়। সেই অবস্থা হতে চলেছে তৃণমূলের সঙ্গে দলের এই ঐতিহাসিক ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য।'