Ketugram Shootout: জমি সংক্রান্ত বিবাদ! তার জেরেই চলল গুলি।পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের কেঁওগুড়ি গ্রামের এই ঘটনাতেও মুর্শিদাবাদ যোগ সামনে এসেছে। বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গেলেও কেঁওগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা নসিয়ত শেখ এখন কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আক্রান্ত ব্যক্তির দাবি অনুযায়ী তাঁর ওপর হওয়া হামলা ও গুলি চলানোর ঘটনায় জড়িতদের তালিকায় রয়েছেন এক পঞ্চায়েত সদস্যও। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের খোঁজে শুরু করেছে তল্লাশি।
Advertisment
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নসিয়ত শেখ মূলত মুর্শিদাবাদের কর্ণসুবর্ণের বাসিন্দা। তবে তাঁর শ্বশুরবাড়ি কেতুগ্রামের কেঁওগুড়ি গ্রামে। প্রায় ২৫ বছর হল তিনি কেঁওগুড়ি গ্রামে বসবাস করছেন।
তিনি পেশায় দিনমজুর। তাঁর চার মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। নসিয়ত জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ তিনি ও তাঁর স্ত্রী সরিফা বিবি বাড়িতে ছিলেন। দুদিন আগে বাপের বাড়িতে আসা ছোট মেয়েও সেই সময় বাড়িতে থাকলেও ছেলে মনিরুল বাড়িতে ছিল না।
Advertisment
আহত ব্যক্তি ভর্তি হাসপাতালে Photograph: (প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় )
নসিয়তের অভিযোগ, কর্ণসূবর্ণ গ্রামের বাসিন্দা মোসের শেখ তাঁর পরিচিত। তিনিই শুক্রবার রাত আটটা নাগাদ ফোন করে তাঁকে কেঁওগুড়ি বাসস্ট্যাণ্ডের কাছে আসতে বলেন জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য।
নসিয়াত জানান, “তিনি সাইকেলে চড়ে কেঁওগুড়ি মোড়ে যান। জমিজমার বিষয় নিয়ে মোসেরের সঙ্গে যখন কথাবার্তা চলছে তখন চারটি বাইকে চড়ে পাঁচ ছ'জন সেখানে এসে তাঁকে ঘিরে ধরে। একটি চারচাকা গাড়িও ছিল। সেই সময় তাঁর পরিচিত একজন হঠাৎ করেই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে গেলে তিনি ওই ব্যক্তির হাত চেপে ধরেন। গুলি ছিটকে তাঁর হাতে লাগে। সেই অবস্থার মধ্যেই তিনি ছুটে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন ফের অভিযুক্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউণ্ড গুলি চালায়। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান"।
তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়। রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নসিয়তকে জখম অবস্থায় উদ্ধার করে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙ্গা এলাকার এক ব্যক্তির কেঁওগুড়ির গ্রামের কাছে বিঘা দশেক জমি আছে। সেই জমি বিক্রির জন্য খরিদ্দারের খোঁজ করছিলেন মোসের। বিবাদ মূলত সেই জমিকে কেন্দ্র করেই। প্রাথমিকভাবে পুলিশ মনে করছে , মদের বোতল ভেঙে সেই ভাঙা কাঁচের বোতল দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে।